
শরীয়তপুর সদর উপাজেলার শৌলপাড়ায় টাকার দাবীতে জমি দখল করে রেখেছে প্রতিবেশী ইদ্রিস বেপারী নামে এক ব্যক্তি এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। স্থানীয় আমিন ও শালিশগণ জমি পরিমাপ করে দিলেও মানতে নারাজ দখলদার ইদ্রিস বেপারী। দীর্ঘদিনেও দখলকৃত জমি মুক্ত করে না দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। টাকা ব্যতিত জমি ফিরে পেতে জেলা প্রশাসন সহ পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া মৌজার ৪২৫ নং দাগে বিএম জসিমের ১৮ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমির একটা অংশ প্রতিবেশী প্রভাবশালী ইদ্রিস বেপারী দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। প্রায় ৩ বছর পূর্বে ইউপি মেম্বার দুলাল মোল্যা, শালিশকারী আজগর মুন্সী, মিন্টু খানসহ আমীন জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। তার পরেও ইদ্রিস বেপারী বিএম জসিমের জমি কাঙ্খিত টাকা না পেলে ফিরিয়ে দিবে না বলে জানিয়েছে।
এই বিষয়ে টাকা দাবী করা জসিম বেপারী জানায়, আমার শ্যালককে স্পেনে নেওয়ার কথা বলে বিএম জসিমের ছেলে স্বপন ২২ বছর পূর্বে আমার শ্বশুর ফজলুল হক সরকারের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নেয়। স্বপন আমার শ্যালককে স্পেন পাঠাতে পারেনি। আমার শ্বশুর মামলা করে টাকা আদায় করে। তখন স্বপন আমার শ্বশুরের হাত-পাঁ ধরে ২ লাখ টাকা ক্ষমা চেয়ে নেয়। পরে আমার শ্বশুর মামলা উঠিয়ে নেয়। আমার শ্বশুর পায় ২ লাখ আর আমি পাই ৩০ হাজার। এখন ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা না দিলে আমি জমির দখল ছাড়ব না।
মামলার আপোষ মীমাংসাকারী আতাউর রহমান তালুকদার বলেন, ইদ্রিস বেপারীর শ্বশুর বিএম জসিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে মামলা করে তা আমি মীমাংসা করি। সমুদায় টাকা পেয়ে সেই মামলা উঠিয়ে নেয়। ইদ্রিস সেই মামলা বাবদ কোন টাকা পাবে না।
এই বিষয়ে বিএম জসিমের ছেলে স্বপন জানায়, আমার বাবা-মা, বোন, ভগ্নিপতি সহ আমাকে সেই মামলায় আসামী করে। আমাদের জেল হাজতে রেখে সমুদয় টাকা আদায় করে নেয়। ইদ্রস বেপারী বা তার শ্বশুর আমাদের কাছে কোন টাকা পাবে না। এখন ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে আমাদের জমি দখল মুক্ত করবে না। আমাদের জমি স্বেচ্ছায় দখল মুক্ত না করলে আমরা আইন আদালতে যাবো।
ক্ষতিগ্রস্থ বিএম জসিম বলেন, ইদ্রিস আমার আগে ওই জমিতে বাড়ি করে। তখন আমার জমির একটা অংশে রান্না ঘর ও টয়লেট নির্মাণ অনুমতি চেয়ে জানায়, ‘যখন আমার প্রয়োজন হবে তখন রান্নাঘর ও টয়লেট সরিয়ে নিবে। এখন আমি আমার জমিতে বাড়ি করতেছি। ইদ্রিস বেপারী এখন তার স্থাপনা সরিয়ে নেয় না বরং আরো টাকা দাবী করে।
এই বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার দুলাল মোল্যা জানায়, আমরা শালিশী করে বিষয়টি মীমাংসা করি। সীমানা পিলারও স্থাপন করে দেই। প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হতে চলছে এখনও ইদ্রিস বেপারী জমির দখল ছাড়ছে না।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।