
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় তীব্র গরম থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ মোনাজাত করেছেন তারা।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুম্মার নামাজের পর ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পেদা কান্দি এলাকার দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদের সামনের মাঠে খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়।
নামাজের ইমামতি করেন স্থানীয় মাঝী বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা নাজমুল ইসলাম। দোয়া মোনাজাত করেন হাফেজ আফজাল হোসেন।
মোনাজাতে গরমের কারণে কৃষকের ফসল ও মানুষের জীবন যেন বিপন্ন না হয়, সেজন্য দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন মুসল্লীরা।
ইসতিসকার নামাজ পরতে আশা মোঃ নুর হোসেন দেওয়ান (৮০), মোঃ মোহসীন দেওয়ান (৫৯), মোঃ সরদার আলী সহ আরো কয়েক জন মুসল্লী বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। বৃষ্টির নাম গন্ধ নেই। তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রশান্তির বৃষ্টি চেয়েছি। আল্লাহ তায়ালা রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করে সকলকে মুক্তি দিবেন ইনশাআল্লাহ।
ইসতিসকার নামাজের ইমাম স্থানীয় মাঝী বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা নাজমুল ইসলাম বলেন, অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এখন একমাত্র আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা সবাই নিরুপায়। তাপপ্রবাহের দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় মুসল্লীদের নিয়ে জামায়াতের সঙ্গে রাসূল (সা.) এর সুন্নত মেনে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেছি, তিনি যেন আমাদের পাপ মার্জনা করে রহমতের বৃষ্টি দিয়ে জনজীবনে প্রশান্তি ফিরিয়ে দেন।
পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে সাধারণ মানুষসহ কৃষি ফসলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। আল্লাহর কাছে আমাদের গুনাহ থেকে মাফ চেয়ে বৃষ্টির প্রার্থনা করেছি।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।