
পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় একটি ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পাশে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ভাটার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়েছে। এসব কারণে স্থানীয় ব্যক্তিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর প্রায় এক সপ্তাহ আগে মেসার্স হ্যাপী ব্রিকস ইটভাটাটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নলমুড়ি ইউনিয়নের হারুন মীর আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ২০১৭ সাল থেকে অবৈধভাবে ইটভাটা ব্যবসা করে আসছিলেন। মেসার্স হ্যাপী ব্রিকস্ অবৈধ ঘোষণা করে তা বন্ধের নির্দেশ দেন প্রশাসন।
আদালতের ওই নির্দেশ পেয়ে গত ১৩ মার্চ গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান চালিয়ে ‘মেসার্স হ্যাপী ব্রিকস্-এর কাচা ইটসহ আংশিক স্থাপনা ভেঙে দেয়। এসময় ইটভাটার ম্যানেজারকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কিন্ত প্রভাবশালী ইটভাটা কর্তৃপক্ষ ইট তৈরি ও পোড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ইট ভাটার মালিক হারুন মীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, আমরা আদালতের চিঠি পেয়ে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে আংশিক স্থাপনা ভেঙে দিয়েছি। কাগজপত্রাদী না করলে অভিযান চালিয়ে যাবো হ্যাপী ব্রিকস বন্ধ করে দিয়েছি। পরবর্তীতে পুরো ইটভাটা ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।