Thursday, 26th June, 2025

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে কাঁচিকাটায় মানববন্ধন

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে কাঁচিকাটায় মানববন্ধন
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে কাঁচিকাটায় মানববন্ধনে উপস্থিতির একাংশ। ছবি-দৈনিক হুংকার।

পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও পদ্মার ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মাবিচ্ছিন্ন দূর্গম চরাঞ্চল কাচিকাটা ইউনিয়বাসী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ।
“দাবি মোদের একটাই, স্থায়ী বেড়িবাঁধ চাই”, রক্ত লাগলে রক্ত দেব, বালু খেকোদের কবর দেব, বানের জলে ডুবি ভাসি, শুনেছ কি আর্তনাদ? বেঁচে থাকার জন্য চাই টেকসই বেড়িবাঁধ” সহ বিভিন্ন শ্লোগানে শনিবার (৩ মে) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাচিকাটা ইউনিয়নের পদ্মার উভয় পাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ৫টি পয়েন্টে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
কাচিকাটার চরাঞ্চলে পদ্মার ভাঙ্গন ঝুঁকিতে থাকা সকল শিক্ষা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে কৃষক-শ্রমিক, জেলে, মজুর, ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল শ্রেণি পেশার প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষ ব্যানার ফেস্টুন হাতে মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে পদ্মার তীরে সংবাদ সম্মেলন করে চরের বাসিন্দারা। সংবাদ সম্মেলনে কাচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম.এ হামিদ সরদার বলেন, কাচিকাটা ইউনিয়নটি শরীয়তপুর জেলার মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পদ্মা নদীর মাঝখানে অবস্থিত। এ চরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ বসবাস করে। বালুখেকোরা পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পদ্মার তীরবর্তী চরটি বিলিন হয়ে গেছে। পদ্মা নদী গ্রামের নিকটে চলে এসেছে। কাচিকাটা ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ-মাদরাসা হুমকির মুখে। সেই সাথে একটি মহল পদ্মার তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করায় ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। পদ্মার ভাঙ্গনে চরের বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, ফসলি জমি, সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তার উপর আবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাচিকাটাকে বালুমহাল ঘোষণার পায়তারা চলছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের দাবি, কাচিকাটাকে বালুমহাল ঘোষণার পায়তারা বন্ধ করতে হবে, পদ্মা নদী থেকে বৈধ হোক, অবৈধ হোক সকল প্রকার বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে এবং কাচিকাটা ইউনিয়নের উত্তর তীর রক্ষায় টেকসই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা জেলা প্রশাসকসহ সকল মহলকে লিখিত ভাবে অবগত করেছি। আমাদের দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।