Friday, 9th May, 2025

১১ কেভি বিদ্যুতের খুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে হেলেদুলে রয়েছে শরীয়তপুর পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে

১১ কেভি বিদ্যুতের খুটি ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে হেলেদুলে রয়েছে শরীয়তপুর পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে
স্বর্ণঘোষ দিঘিরপাড় এলাকার কাইয়ুম বয়াতীর বাড়ির সামনের হেলে পড়া দুটি বিদ্যুতের খুটি। ছবি-দৈনিক হুংকার।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) শরীয়তপুরের অধিন নির্মাণ করা বিদ্যুতের খুটি স্বর্ণঘোষ এলাকায় রাস্তার উপর ঝুঁকে রয়েছে। ঝুঁকে পড়া খুঁটি টেনে বাঁধা হয়েছে বসত বাড়ির উঠানের গাছে, এক খুঁটি অপর খুটির সাথে ও রাস্তার পাশের গাছের সাথে। যে কোন সময় সেই সকল খুঁটি উল্টে গিয়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। কর্তৃপক্ষকে বারবার অবগত করেও কোন সুফল মেলেনি তাদের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলা শহরের চৌরঙ্গী থেকে স্বর্ণঘোষ দিঘিরপার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে শরীয়তপুর ওজোপাডিকো বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করেছে। প্রতিটি খুটির উপরের অংশে ১১ কেভি বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। নিচের অংশে ৯ লাইন বিদ্যুতের তার রয়েছে। একই খুটিতে রয়েছে শরীয়তপুর পৌরসভার সড়ক বাতির তার। এতো ভারী ওজন বহনকারী খুটিগুলি এদিক ওদিক হেলেদুলে রয়েছে। খুটি খাড়া করে রাখতে টানা দেওয়া হয়েছে বাড়ির ভিতরের গাছের সাথে, সড়কের পাশে থাকা গাছের সাথে ও অন্য আরেক খুটির সাথে। যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। অতি বিলম্বে হেলেদুলে পরা খুটি মেরামতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্বর্ণঘোষ দিঘিরপাড় এলাকার কাইয়ুম বয়াতী জানায়, তার বাড়ির সামনের দুটি বিদ্যুতের খুটি হেলে পরেছে। যেকোন সময় উল্টে যেতে পারে। এমন কিছু হলে বড় ধরণের ক্ষতি হবে। তাছাড়া ঘরের চাল ঘেষে বাড়ির ভিতরে গাছের সাথে খুটির টানা দেওয়া হয়েছে। ঘর থেকে মিটার আলগা হয়ে গেছে। শিশুরা খেলাধুলার ছলে তার জড়িয়ে ধরে। যেকোন সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
স্বর্ণঘোষ কালভার্ড এলাকার আনোয়ার হোসেন শরীফ জানায়, সে বাড়ি করার জন্য একটি জমি ভড়াট করেছে। সেই জমির মাঝখানে খুটির টানা দিয়েছে। অপর দিকে তার জমিতে থাকা একটি গাছ বিক্রি করেছে সেই গাছের সাথেও বিদ্যুতের খুটির টানা থাকায় গাছ কাটতে পারছে না। বিদ্যুত কর্তৃপক্ষকে বার বার অবগত করার পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
স্বর্ণঘোষ এলাকার ত্রিনাথ দাস জানায়, খুটি থেকে ১৫০ মিটার দূরত্বে তার বাড়ি। সেই বাড়ির সাথেও খুটির টানা পড়েছে। ঠিকাদার মজিবর রহমানকে বার বার বলার পরেও সে খুটির টানা সরায়নি। যে কোন সময় খুটি কারেন্ট হয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এই বিষয়ে শরীয়তপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি যোগদানের পরে ওজোপাডিকো বিদ্যুতায়িত সকল এলাকা পরিদর্শণ করেছি। স্বর্ণঘোষ এলাকা একটু বেশী ঝুকিপূর্ণ। আমার ক্ষমতার মধ্যে যতটুকু আছে তা সমাধান করব। আর আমার এখতিয়ারের বাহিরে যতটুকু তা পত্র মাধ্যমে উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষকে জানাব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।