
এ ধরনের বিস্ফোরক অভিযোগ মেনে নিয়েছে অ্যামাজন। সারাদিন কাজের চাপে দম ফেলার সময় নেই। কিন্তু শরীর তো আর সে কথা শুনছে না। তাই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার ঠিকমতো সময় না পেয়ে অগত্যা এক পন্থা বের করে নিয়েছিলেন জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের কর্মচারীরা। কাজের চাপে দরকারের সময় বোতলের মধ্যেই প্রস্রাব সারতেন তারা। সম্প্রতি এ খবর সামনে আসতে শুরু হয় তোলপাড়।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সাংবাদিক জেমস ব্লাডওয়ার্থ অ্যামাজন সম্পর্কিত একটি বইতে কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক এই অভিযোগটি এনেছিলেন। এমনকি ট্যুইটারে তিনি জানিয়েছিলেন, অ্যামাজনে কাজ করার সময় তিনি নিজেও কাজের চাপে সময় না পেয়ে বোতলে প্রস্রাব করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তার বক্তব্যে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রাথমিকভাবে এই দাবি অ্যামাজন উড়িয়ে দিলেও একের পর এক কর্মী মুখ খুলতে থাকলে অবশেষে পিছু হটে অ্যামাজন। কোম্পানিটি বিবৃতি দিয়ে প্রথমে ক্ষমা চেয়ে বলে আমাদের কর্মীদের অনেক সময়েই এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় যখন শৌচাগারে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। মূলত ট্রাফিকের কারণে বা গ্রাম্য এলাকায় ড্রাইভারদের এমন সমম্যা দেখা দেয় বলে দাবি করেছে এই মার্কিন কোম্পানি। এও বলে, করোনার সময় অনেক জায়গাতেই টয়লেট বন্ধ হয়ে গিলেছিল। সেসসয়ও বোতলে প্রস্রাবের প্রবণতা বেড়েছিল। অ্যামাজন বলছে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে। কিন্তু তাতে বিতর্ক ধামাচাপা পড়েনি। কোম্পানিতে কর্মরত ব্যক্তিদের মান-সম্মান ও শ্রমের আইন নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।