
এডভোকেট মুক্তা আক্তারকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার বাবা ও মা।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) ঘোষিত যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এডভোকেট মুক্তা আক্তার কে এ পদ দেওয়া হয়েছে।
২০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর তিন বছর মেয়াদে যুবলীগের সভাপতি হন শেখ ফজলে সামস পরশ। সাধারণ সম্পাদক হন যুবলীগের ঢাকা উত্তরের সাবেক সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবকদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুবলীগ গঠন করেন তার ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি। ১৯৭৪ সালে যুবলীগের প্রথম কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। শেখ ফজলে সামস পরশ শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে।
এর আগে যুবলীগের ২০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আর সেই কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে মুক্তা আক্তারকে।
এডভোকেট মুক্তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের কলারগাও গ্রামে। নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা এ কে এম ফজলুল হক মাল ও মাতা বেগম ফখরুনেসার ঘরে জন্মগ্রহন করেন মুক্তা।
এডভোকেটমুক্তার পিতা ১৯৬৯ সালে বোরহান উদ্দিন কলেজে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। এবং ৬৯ এর গনঅভ্যুথ্যানের সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এডভোকেট মুক্তার বাবা বীর মুক্তিযুদ্ধা এ কে এম ফজলুল হক মাল বলেন, আমি স্বাধীনতারর আগে থেকেই আওয়ামী লীগ করি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করি। আমি রাজ্জাক ভায়ের সাথে ৩২ নাম্বারে যেতাম। আমাকে বঙ্গবন্ধু নাম ধরে ডাকতেন।
আমরা আওয়ামীলীগ করি এটা এক সময় নামও বলা যেত না। বিরোধী দলে থাকতে অনেক মামলা খেয়েছি। আজকে আমার ছোট মেয়েকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে পদ দিয়েছে। আমাদের জীবনে আর কোন কস্ট নাই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির কৃতজ্ঞ।
এডভোকেট মুক্তা আক্তার কলারগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে শহীদ নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও পন্ডিসার টিএম গিয়াসউদ্দিন মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন।
পরে ঢাকা বদরুন্নেসা কলেজে ভর্তি হয় এবং ২০০২ সালে বদরুন্নেসা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। সে সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে মিছিল করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় কলা ভবন ও শহীদ মিনারের সামনে বিরোধী দলের দ্বারা আহত ও রক্তাক্ত হয়েছেন। ২০১২ সালে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক এর দায়িত্ব পান। এবং এবারের যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মুক্তা আক্তার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হাসান খান নিখিলকে। আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক করায়। সকলের দোয়া চাই, আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা এবং নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারি। বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যে লক্ষ্য নিয়ে যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি আত্মনির্ভরশীল যুব সমাজ, সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা প্রদানে সক্ষম যুব সমাজ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ যুবসমাজ গঠনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক নতুন প্রজন্মের আকাংখার যুবলীগ আমরা প্রতিষ্ঠা করবো, ফিরিয়ে আনবো আদর্শিক যুবলীগ।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।