
ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় ছোট বড় ৪ শতাধিক খামার ও ব্যক্তি পর্যায়ে কুরবানির জন্য প্রায় ৬ হাজার গরু ও ৯ হাজার ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় কুরবানির জন্য ৪ হাজার গরু ও ৬ হাজার ছাগলের চাহিদা রয়েছে। বিপরীতে গরু প্রস্তুত করা হয়েছে ৫ হাজার ৪৬৭টি আর ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৯ হাজার। উপজেলার ২টি স্থায়ী ও ৭টি অস্থায়ী হাটসহ ৯টি হাটে ইতিমধ্যেই পশু বেচা কেনা শুরু হয়েছে।
উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের খামারী স্বপন ঢালী বলেন, আমরা দেশীয় উপায়ে সবুজ ঘাস, খৈল, ভুশি খাইয়ে গরু পালন করেছি। আমাদের খরচ বেশী হয়েছে। বাহির থেকে যে গরু আসে তাতে বিভিন্ন ঔষুধ খাইয়ে মোটা করা হয়। তারা কম দামে বিক্রি করতে পারে। এতে আমরা লেকশানের মুখে পরি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ নজর দিলে আমরা লাভবান হবো।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ আতিকুর রহমান মিয়া বলেন, আমাদের উপজেলায় কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই। চাহিদার চেয়ে বেশী প্রাণী প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে আমাদের সামনে আতংকের বিষয় হচ্ছে এলএসভি রোগটি মহামারির আকার ধারণ করেছে। আমরা রোগমুক্ত নিরাপদ কুরবানির পশু ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে প্রতিটি হাটের জন্য আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে। এছাড়া ক্রেতা, বিক্রেতা ও খামারিদের সচেতন করা হয়েছে। এছাড়া লিপলেট বিতরণ ও মাইকিং করা হয়েছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, আমাদের উপজেলায় কোরবানি উপলক্ষে ২টি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি আরো কিছু অস্থায়ী হাট বসবে। হাটের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও পুলিশের টিম থাকবে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা ও জালটাকা সনাক্তকরণে যন্ত্র বসানো হবে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।