
পারস্যের বিখ্যাত কবি হাফিজ শিরাজীর জন্মবার্ষিকীর ৭০০ বছর পূর্তিতে ইউনেস্কো হাউস, প্যারিস, ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক সাইন্টিফিক ও সাহিত্যিক কনফারেন্স।
কনফারেন্সটি চলবে ১১ জুন থেকে ১৩ জুন ২০২৫ পর্যন্ত।
আয়োজনে রয়েছে ইউনেস্কো, রুদাকি অ্যাসোসিয়েশন অফ প্যারিস এবং তাজিকিস্তান। সর্বমোট ৮০টি প্রবন্ধের মধ্যে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের সন্তান ড. মুমিত আল রশিদ কে লিখিত প্রবন্ধটি উপস্থাপনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত ইউনেস্কো হাউসে এই আন্তর্জাতিক কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে ইউনেস্কো রিপ্রেজেন্টেটিভ তাজিকিস্তানের অতিথি হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মুমিত আল রশিদ।
কনফারেন্সে তিনি পারস্যের মহান কবি হাফিজ শিরাজীর সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আত্মিক মেলবন্ধনের যোগসূত্র নিয়ে “বিশ্ব সাহিত্যে সুর ও আত্মার মেলবন্ধনে হাফিজ শিরাজী ও কাজী নজরুল ইসলাম: একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ” শিরোনামে ফারসি ভাষায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
এ প্রসঙ্গে প্রবন্ধকার জানান, “আমি সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের কবিদের মিল-অমিলের সম্পর্ক, প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ-বিচ্ছেদ, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি খোঁজার চেষ্টা করি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্বব্যাপী ভাষা ও সাহিত্যকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স গুলোতে, এমনকি ওয়ার্ল্ড রেংকিং-এর সেরা জার্নালগুলোতে আমরা আমাদের দেশের স্বনামধন্য কবি-সাহিত্যিকদের কর্ম ও জীবন সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরতে পারি।”
উল্লেখ্য ড. মুমিত গত ৮-১০ মে ২০২৫, চীনের সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটি, ইংল্যান্ডের বাথ ইউনিভার্সিটি ও আজারবাইজানের খাজার ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “ফিলোসফি অফ ল্যাঙ্গুয়েজ, লিটারেচার ও লিঙ্গুইস্টিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স” এ অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত কনফারেন্সে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃত ভাষার বিখ্যাত গ্রন্থ পঞ্চতন্ত্র-এর পাহলাভি, আরবি ও ফারসি ভাষায় অনুবাদ বিশ্লেষণ করেন।
ইতিমধ্যে তিনি স্পেন, ইরান, আজারবাইজান, তাজিকিস্তানের সেমিনারে বেশ কয়েকটি উপস্থাপন করেছেন।
দেশ-বিদেশে তার প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ২৩ এবং প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৭।
এছাড়া বাংলাদেশের টেলিভিশনের জন্য ৩৬ টি ইরানি চলচ্চিত্র এবং ৬টি ইরানি মেগা সিরিয়াল বাংলায় অনুবাদ করেন।
উল্লেখযোগ্য সিরিয়ালগুলো হচ্ছে ইউসুফ-জুলেখা, আসহাবে কাহাফ, বিবি মরিয়ম, ঈসা নবী, কারবালা কাহিনী।
ইতিমধ্যে তিনি ইরান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে দুইটি সিনেমার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সর্বশেষ বাংলাদেশের সুপারস্টার জয়া আহসান অভিনীত ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ফেরেশতে’র চিত্রনাট্যকার হিসেবে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।