Wednesday, 18th June, 2025

পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগে শিবচরের সাংবাদিকদের নৌভ্রমণ

পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগে শিবচরের সাংবাদিকদের নৌভ্রমণ
পদ্মার সৌন্দর্য উপভোগে শিবচরের সাংবাদিকদের নৌভ্রমণ। ছবি-দৈনিক হুংকার।

প্রেম-প্রীতি, রঙিন স্বপ্ন কিংবা ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তির সবকিছুকে ছাপিয়ে নতুন করে প্রাণ জোগাতে পারে এক টুকরো নিরবিচ্ছিন্ন আনন্দ। এমনই এক আনন্দঘন মুহূর্তের সাক্ষী হলো পদ্মার বুক। সম্প্রতি শিবচরে কর্মরত একঝাঁক সংবাদকর্মীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো এক মনোরম নৌভ্রমণ।
সাধারণত যারা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে, সেই সাংবাদিকদেরই এবার দেখা গেল অন্যরকম এক রূপে প্রকৃতির সান্নিধ্যে, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে।
পদ্মা নদীর সৌন্দর্য মুগ্ধ করল সংবাদকর্মীদের বর্ষার পানিতে জেগে ওঠা চর, মৃদুমন্দ বাতাসে দুলে ওঠা ঢেউ, আর মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো পদ্মা সেতু সব মিলিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। ঈদের ছুটিকে ঘিরেই ১১ জুন (বুধবার) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পদ্মার সেতু সংলগ্ন এলাকায় ভ্রমণ করেন সাংবাদিকরা।
একটি বড় নৌকা ভাড়া করে পদ্মার জলে ভেসে বেড়ায় সাংবাদিকদের দলটি। কেউ প্রকৃতি উপভোগে মগ্ন, কেউ আবার ব্যস্ত সেলফি আর গ্রুপ ফটোতে। সূর্যাস্তের রঙে রাঙা আকাশের নিচে পদ্মা সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে চলতে থাকে আলোকচিত্র ধারণ। সবার মুখেই প্রশান্তির ছাপ।
বর্ণাঢ্য উপস্থিতি ও প্রাণবন্ত আয়োজন নৌভ্রমণে অতিথি হিসেবে যোগ দেন সময় টেলিভিশনের ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ এম এ মান্নান মিয়া, কেবল টিভি দর্শক ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন মুন্না এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মো. মোশাররফ হোসেন।
এই আয়োজনে অংশ নেন শিবচরের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রায় ৪০ জন সংবাদকর্মী। আয়োজক ছিলেন পদ্মাপাড়ের বাসিন্দা ও এশিয়ান টেলিভিশনের শিবচর প্রতিনিধি মো. রুবেল মোড়ল।
আয়োজক রুবেল মোড়ল বলেন, “এই নৌভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিবচরে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববন্ধনকে আরও দৃঢ় করা। সবাই মিলেই আমরা একটি পরিবার।”
উপস্থিত সংবাদকর্মীদের মধ্যে ছিলেন এম এ মান্নান মিয়া (সময় টিভি), শাহাদাৎ হোসেন মুন্না (কেবল টিভি দর্শক ফোরাম), মো. মোশাররফ হোসেন (সদস্য জাতীয় প্রেসক্লাব), আবুল খায়ের খান (বিজয় টিভি ও ভোরের ডাক), ইমতিয়াজ আহমেদ (বাংলানিউজ ও আজকের পত্রিকা), মীর ইমরান (ভোরের দর্পণ), রফিকুল ইসলাম রাজা (দ্বীপ্ত টিভি), সরোয়ার হোসেন মিঠু (আমার দেশ), বিএম হায়দার আলী (মানবজমিন), মেহেরাব হোসেন (দৈনিক হুংকার), এসএম দেলোয়ার হোসাইন (ডেইলি সান), মো. সাখাওয়াত মোল্লা (দৈনিক জনতা), কামরুল ইসলাম (জনকণ্ঠ), আহসান হাবীব শাহীন (নয়াদিগন্ত), মতিউর রহমান (দিনকাল), বজলুর রহমান (রূপালী বাংলাদেশ), নাজমুল হোসেন লাভলু (সকালের সময়), মো. সোবাহান মিয়া (নতুন বাংলার খবর), তামিম ইসমাইল (সময়ের কণ্ঠস্বর), এসকে শাহীন (ভোরের আকাশ), সৈয়দ সালোয়ার হোসেন (সংবাদ সারাক্ষণ), মো. রিয়াজ রহমান (লাল সবুজের দেশ), শাহীন বীন আনিস (দৈনিক জবাবদিহি), কৃষিবিদ মো. শাহীন (বাংলার নবকন্ঠ), মাসুদুর রহমান (বাংলাদেশ সমাচার), খান ই আজম রুবেল, গোলাম মস্তফা (সংবাদ দিগন্ত), মো. সজিব (সকালের শিরোনাম), রবিন চৌধুরী প্রমুখ।
সবশেষে একটিই প্রত্যাশা এই ভ্রাতৃত্ব, বন্ধন ও সৌন্দর্য উপভোগ যেন অব্যাহত থাকে পরবর্তী দিনগুলোতেও।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।