
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার (রামভদ্রপুর) পাচালিয়া গ্রামের মৃত আ: আজিজ সিকদারের পুত্র আ: মান্নান সিকদারের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৫ মে। পিতার মৃত্যু পরবর্তী তার অপর ওয়ারিশদের ঠকিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষে তিনি কখনো আ: রব সিকদার বা মরণ সিকদার নাম ব্যবহার করে আসছেন। এমনি ভাবে প্রায় ৭ একর জমির একতরফা ভোগ দখলে রেখে মালিকানা বনেছেন। এমন অভিযোগ করেছেন আজিজ সিকদারের অপর পুত্র নুর মোহাম্মদ সিকদার।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আ: আজিজ সিকদার ব্রিটিশ শাসনামলে আর্মি সদস্য ছিলেন। তিনি অবসর গ্রহণের পরে ১৯৫১ সনে একটি সরকারি জমির মালিকানা দখল করেন। সেই জমি নিয়ে ফরিদপুর আদালতে ১৩/১৯৫১ নং দেওয়ানী মোকদ্দমা হয়। সেই মামলার বিবাদী হয় আ: আজিজ সিকদার। তিনি মৃত্যু বরণ করার পরে তার বড় ছেলে আব্দুর রর সিকদারের নামে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব চলে যায়। কিছুদিন পরে রর সিকদার মৃত্যু বরণ করায় মান্নান সিকদার রব সিকদারের ভুমিকায় অভিনয় শুরু করে। সেই আব্দুল মান্নন সিকদার কখনো রব সিকদার আবার কখনো মরণ সিকদারের ভুমিকায় চরিত্র বদলায়।
অভিযোগকারী নুর মোহাম্মদ সিকদার জানায়, মান্নান সিকদার নিজেকে রব সিকদার দাবী করে প্রায় ৭ একর জমি দখলে রেখেছে। দীর্ঘদিনে তিনি ধন-সম্পত্তি ও প্রভাব প্রতিপত্তির অধিকারী হয়েছেন। এখন তার প্রভাবে আমি জমির কাছেও ভিরতে পারি না। মান্নানের ছেলে নুরে আলম জাতীয় পরিচয় পত্রে ব্যবহার করে পিতার নাম আব্দুল মান্নান সিকদার। অপর ছেলে মোবারক ব্যবহার করে আব্দুর রব সিকদার। কখনো আবার রব ও মান্নান হয়ে যায় মরণ সিকদার। আমার মেয়েরা প্রকৌশলী লাইনে পড়াশুনা করেও মান্নান সিকদারের কারণে বিয়ে দিতে পারছি না। আমাকে জমির কাছেও যেতে দেয় না। আমার মেয়েদের বিয়ের প্রস্তাব আসলে তাদের সম্পর্কে মান্নান খারাপ বলে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়।
কার্তিকপুর বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বেপারীসহ অন্যান্যরা জানায়, মান্নান সিকদারও কার্তিকপুর বাজারে ব্যবসা করে। আমরা তাকে মনা সিকদার নামে চিনি। সে রব সিকদার কিনা আমাদের জানা নাই।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মান্নান-রব ওরফে মরণ সিকদার জানায়, রব সিকদার নামে তার কোন ভাই ছিল না। সে নিজেই মান্নান সিকদার। তার এক ছেলে নুরে আলম স্কুলে ভর্তি হতে গেলে শিক্ষক পিতার নাম মান্নান সিকদার লিখে নেয়। অপর ছেলে মোবারক সিকদারের জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম আব্দুর রব রয়েছে। তবে মরণ সিকদার হয় কিভাবে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, একটি জমির ক্রয় মালিকানা রেজিস্ট্রির সময় আমি সেখানে উপস্থিত হতে পারিনি। তখন কেউ আমার নাম মরণ সিকদার লিখে দেয়। সেই থেকে আমিই মান্নান সিকদার, রব সিকদার ও মরণ সিকদার। এছাড়া আমার ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য নাই। যে জমির মালিকানা হওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে সেই জমি আমি নিজের পরিশ্রমে অর্জণ করেছি।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।