শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ পারবেজ হাসান বলেছেন, যুব সমাজ জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় ও সৃজনশীল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে মুক্তি সংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এদেশের যুব সমাজ ত্যাগ, তিতীক্ষা ও আত্ম উৎসর্গের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুবসমাজ। আগামী ২০৪৩ সাল পর্যন্ত যুবসমাজের সংখ্যাগত আধিক্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন করতে এ জনমিতিক সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে। দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে যুবসমাজ দেশগঠনের কাজে নিজেদের আরো বেশি নিবেদিত করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ১ নভেম্বর রবিবার “মুবিজবর্ষের আহবান, যুব কর্মসংস্থান”এ প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে শরীয়তপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক যুবসমাজকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যুবসমাজকে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান, আত্ম উন্নয়ন ও সমাজ বিনির্মাণে গতিশীল ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব সমাজকে মহিলা, শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে বলেছেন। সেই সাথে যুবসমাজকে-রাষ্ট্র থেকে সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ নির্মূলেও এগিয়ে আসার আহবান জানান।
শরীয়তপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস পালন উপলক্ষে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মিলনায়তন প্রেমতলায় এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপ-পরিচালক একেএম হুশিয়ার। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর হায়দার শাওন ও যুব উদ্যোক্তা মোঃ মাহাবুবুর রহমান ।
আলোচনা সভা শেষে যুব ঋণের চেক, প্রশিক্ষণ সনদ, সংগঠন নিবন্ধন সনদ ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়।