Tuesday, 13th May, 2025

রাস্তার বেহাল দশা, বিপাকে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ

রাস্তার বেহাল দশা, বিপাকে দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ
উত্তর সিড্যা খাঁন বাড়ি থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার তালুকদার বাড়ি সড়ক। ছবি-দৈনিক হুংকার।

বাংলাদেশের মধ্যে যখন এক গ্রাম নিয়ে একটি ইউনিয়নের নাম জানতে চাওয়া হয় তখনই শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের নাম চলে আসে। পরিপাটি ছোট্ট এ ইউনিয়টির প্রায় অধিকাংশ রাস্তাই পাঁকা
কিন্ত এ ইউনিয়ন থেকে পার্শ্ববর্তী ভেদরগঞ্জ উপজেলায় যাতায়াতের জন্য উত্তর সিড্যা খাঁন বাড়ি থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার তালুকদার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা থাকায় ইউনিয়নবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টি ও বর্ষার দিনে সাধারণ মানুষ যাতায়াতের সময় চরম দূর্ভোগে পরে। শুধু বর্ষা ঋতুতেই নয় গ্রীষ্মের ঋতুতেও রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটির মাটি বিভিন্ন দিকে সরে গেছে এবং উচু নিচু হয়ে আছে। যার ফলে ছোট ছোট যানবাহন রিক্সা বা অটোর চলাচল নেই বললেই চলে। এতে করে অনেকটা বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষকে পায়ে হেটে দুই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়।
স্থানীয় ভুক্তভোগী মাওলানা আব্দুল মতিন জানান, এই রাস্তা দিয়ে প্রায়ই আমি ভেদরগঞ্জ যাতায়াত করি। কিন্তু রাস্তার মাটি সরে যাওয়ায় ও উচু নিচু হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর এবং বৃষ্টির মৌসুমে যাতায়াতে করতে গেলে এক প্রকার ভয়ভীতি নিয়ে চলাচল করতে হয়। তাছাড়া মাঝে মধ্যে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে চরম দূর্ভোগ পেহাতে হয়, যা আমরা স্বচক্ষে দেখেছি।
স্থানীয় আরো এক ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জানান, আমার বাসা সিড্যা ইউনিয়নে, আমি ভেদরগঞ্জ ইমামতি করি। সেই সূত্রে আমাকে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু রাস্তা পাকা না হওয়ায় রাতে ও বৃষ্টি হলে আমাকে দূর্ভোগে পড়তে হয়।
এ বিষয় সিড্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. হাবিবুর রহমান তোতা জানান, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এই রাস্তাটি ছিল চলাচলের একমাত্র পথ। কিন্তু প্রায় চল্লিশ বছরেও রাস্তাটি পাকা করার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, রাস্তাটি মেরামত হলে আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে আর কোন দূর্ভোগ পোহাতে হবে না। তিনি শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ জননেতা নাহিম রাজ্জাক এমপি’র প্রতি অনুরোধ করেন যাতে রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।