Tuesday, 13th May, 2025

চরভাগায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর উপর নির্যাতন

চরভাগায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর উপর নির্যাতন
স্বামীর নির্যাতনের শিকার আনিকা আক্তার সম্পা ও স্বামী সাঁতার বেপারী। ছবি-দৈনিক হুংকার।

যৌতুক না পেয়ে শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের মিয়ারচর চৌকিদার কান্দি গ্রামে আনিকা আক্তার সম্পা (২৩) নামে এক নারীর উপরে দীর্ঘ দিন যাবত অমানবিক নির্যাতন করছেন ইতালি প্রবাসী স্বামী সাঁতার বেপারী। স্ত্রী আনিকা আক্তার সম্পা বেগম নির্যাতনের স্বীকার হয়ে স্বামী সাঁতার বেপারী এবং তার সহচরগণের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে ৮ আগস্ট যৌতুক নিরোধ আইনে ৩ ও ৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যাহার সি.আর নং-৮০/২০।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্ব উপজেলার একই ইউনিয়নের চরভাগা শনিকান্দি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার মেয়ে আনিকা আক্তার সম্পার সাথে একই ইউনিয়নের মিয়ারচর চৌকিদার কান্দি গ্রামের মোঃ কালা বেপারীর
ছেলে ইতালি প্রবাসী সাঁতার বেপারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী আনিকা আক্তার সম্পার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিল সাঁতার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বও চলছিল। যৌতুক না পেয়ে মাঝে মধ্যেই সম্পার উপর অমানবিক নির্যাতন চালাতো সাঁতার ও তার পরিবারের সদস্যরা। সর্বশেষ গত ৬ আগস্ট বিকেলে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে সম্পার উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।
আনিকা আক্তার সম্পা জানান, প্রায় ৪ বছর যাবত সাঁতার বেপারীর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। সাঁতার বেপারী বিভিন্ন সময় আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে, আমি টাকা এনে দিতে না পারলে আমার উপর, স্বামী সাঁতার বেপারী ও তার পাঁচ বোন মিলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। একটি সন্তানের মমতায় জড়িয়ে এবং সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রায় ৪টি বছর যাবত স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে আসছি। স্বামী সাঁতার বেপারী ইতালী যাবার সময় আমার বাবার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ এনে দেই। ইতালী চলে যাবার পর থেকে আমি ও আমার সন্তানকে সঠিকভাবে ভরণ পোষন দিচ্ছে না। এখন আবার দেশে এসে তার ছোট বোনদের পরামর্শে আমার বাবার বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক আনতে বলেন। তাই আমি নিরুপায় হয়ে স্বামী সাঁতার বেপারী ও তার সহচরগণের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেছি। স্বামী সাঁতার বেপারী ও তার সহচরগণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।