Friday, 9th May, 2025

তিন শিশু সন্তানসহ নদীতে ঝাঁপ, নিখোঁজ রয়েছে মা ও এক ছেলে

তিন শিশু সন্তানসহ নদীতে ঝাঁপ, নিখোঁজ রয়েছে মা ও এক ছেলে
তিন শিশু সন্তান নিয়ে নদীতে ঝাপ দেয়া সালমার স্বজন ও উৎসুক জনতা ভীর করছেন নড়িয়ার কীর্র্তিনাশা নদীর পাড়ে। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুরের নড়িয়ার মাইজপাড়া এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে সালমা বেগম (৩০) নামের এক মা। ওই ঘটনায় ২ শিশু সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ রয়েছেন সালমা বেগম ও বড় ছেলে সাহাবীর। ৫ নভেম্বর রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর দিকে পারিবারিক কলহের কথা অস্বীকার করে সালমা বেগমের স্বামী আজবাহার মাদবর বলেন, আমার স্ত্রীর সাথে কারো ঝগরা ছিলনা। কি কারণে আমার বাচ্চাদের নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে আমি কিছুই জানিনা। কয়েকদিন ধরে ওর মাথায় সমস্যা হয়েছে। তাই ভেবেছিলাম ফকির বা কবিরাজ দেখাবো।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাঁচক এলাকার লোকমান ছৈয়ালের মেয়ে সালমা বেগমের সাথে একই উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার শাজাহান মাদবরের ছেলে আজবাহার মাদবরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর পরিবারের সাথে বনিবনা হচ্ছিলো না সালমার। গত ৪ নভেম্বর শনিবার রাতে শ^শুর বাড়ির লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হলে সালমা সকালে তিন সন্তান সাহাবীর, আনিকা ও জাফরকে নিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য কীর্তিনাশা নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে নদী থেকে আনিকা ও জাফরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে নিখোঁজ সালমা বেগম ও তার ছেলে সাহাবীরকে উদ্ধার করতে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সালমার বাবা লোকমান ছৈয়াল বলেন, আমার মেয়েকে আর নাতিকে ওরা মেরে ফেলেছে। ওদের জন্যই আমার মেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
অতিরিক্ত সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মো: আহসান হাবীব বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি সালমা নামের এক গৃহবধু পারিবারিক কলহের কারণে তার তিন শিশু সন্তান নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। দুই শিশুকে উদ্ধার করা গেলেও মা ও আরেক সন্তান নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত কারণ খুজে বের করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।