
নাহিম রাজ্জাক বলেছেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আবারো আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ডামুড্যা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাছিবা খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে. ডামুড্যা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝি।
এসময় বক্তব্য রাখেন, ডামুড্যা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সবিতা সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মোস্তফা খোকন, পৌরসভা মেয়র রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির বাচ্চু ছৈয়াল, ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ গোলন্দাজ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা খানম লাভলী, ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শরীফুল আলম।
নাহিম রাজ্জাক বলেন, ‘মহাসমাবেশের নামে সারাদেশ থেকে মানুষ জড়ো করে সমাবেশ করতে পারেনি। কিন্তু তাদের যে সন্ত্রাস করার প্রবণতা তা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনি। বিএনপি শুধু মুখেই আন্দোলনের কথা বলে। আসলে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই চালাতে চায়। তাদের আসলে জনসমর্থন নেই।’
পৃথিবীর কোথাও হাসপাতালে আক্রমণ করে না তারা সেটা করেছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে, কুপিয়ে হত্যা করেছে।
বিএনপি-যুবদলের কর্মীরা বিভিন্নভাবে অগ্নিসংযোগ করেছে দাবি করে নাহিম রাজ্জাক এমপি বলেন, বিএনপির কর্মীরা একসময় পুলিশের পোশাক পরে, এক সময় সাংবাদিকের পোশাক পরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। এই হত্যা নৈরাজ্য, আগুন সন্ত্রাসী দলকে প্রতিহত করতে হবে। এরা ডামুড্যা ভেদরগঞ্জ পোসাইরহাটেও এ ধরণের আগুন সন্ত্রাস করতে পারে। এজন্য আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ ডামুড্যাকে কেউ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে। সেই চেষ্টাকে প্রতিহত করতে হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আগুন সন্ত্রাসীদের গোষ্ঠীকে প্রতিহত করবো।
এসময় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সব্যাসাজী মজুমদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা নাহিয়ান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা ওবায়েদুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইদ্রিস তালুকদার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কনেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বাচ্ছু মাদবর, পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন হাওলাদার, শিধলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ, ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্যা, ধানকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা রতনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।