Sunday 3rd December 2023
Sunday 3rd December 2023

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkarc/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

ছুটির অবসরে স্কাউটদের শহর স্বচ্ছকরণ উদ্যোগ

শরীয়তপুর জেলা শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি পুরস্কার করছেন স্কাউটের সদস্যরা। ছবি-দৈনিক হুংকার।

‘দেশ আমার দায়িত্ব আমার’ এই প্রতিপাদ্যের বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন ঘটিয়েছে হাজী শরীয়তউল্লাহ মুক্ত স্কাউট গ্রুপ ও শরীয়তপুর মুক্ত রোভার স্কাউট গ্রুপ। তারা সউদ্যোগে শরীয়তপুর পৌর শহরের জেলা পরিষদ মার্কেট সংলগ্ন বটতলা থেকে পাকার মাথা ব্রিজ পর্যন্ত খাল স্বচ্ছকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। পূজার ছুটির দীর্ঘ সময় তারা নিজেদের মতো করে অব্যবহৃত, নোংরা খালটি পরিস্কার করে শহরকে বাসযোগ্য করে তোলবেন। স্কাউটদের এই স্বচ্ছকরণ প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন সদর উপজেলা প্রশাসন ও শরীয়তপর পৌরসভা।
শরীয়তপুর শহরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি এখন অচল প্রয়। বহু বছর ধরে খড়স্রোতা খালটিতে বর্ষার পানি পর্যন্ত প্রবেশ করে না। তাছাড়া নিজেদের মতো করে দখল করে বহুতল ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বসত বাড়ি নির্মাণ করায় খালটি মৃত প্রায়। সেই খালেই ফেলা হয় শহরের বর্জ্য ও ব্যবসায়ীদের অবিক্রিত মালামাল। এভাবেই খালের বদ্ধ পানি আবর্জনাপূর্ণ দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে আছে। খালের পাশ দিয়ে যাতায়াত একটি বিরক্তকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার সাথে খালের পচা পানিতে জীবনঘাতী মশার জন্ম হয়। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা ছিল। তাদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে এবার খাল পরিস্কারে হাত লাগিয়েছে স্কাউটের সদস্যরা।
হাজী শরীয়তুল্লাহ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক খাইরুল বাসার কল্লল জানায়, এই খালের পাশে আমার বসবাস। আমার যেমন কষ্ট হয় অন্যান্যদেরও তেমনই কষ্ট হয়। বিষয়টি নিয়ে স্কাউটের সদস্যদের সাথে আলোচনা করি। পরে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। ২৩ অক্টোবর থেকে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্কাউটের সদস্যদের নিয়ে আমরা খাল স্বচ্ছকরণ কাজ করব। আজ আমরা ১৯ জন ছেলে ও ১০ জন মেয়ে স্কাউট সদস্যদের সমন্বয়ে স্বচ্ছকরণ কাজ শরু করেছি। যেহেতু এটা পূজার ছুটি তাই হিন্দু সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। স্বেচ্ছায় তাদের কেউ অংশগ্রহণ করলে করতে পারবে। আমাদের সাথে উপজেলা প্রশাসন সহায়তা করতেছে। শরীয়তপুর পৌরসভা থেকে ময়লাবাহী একটি গাড়ি দিয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, স্কাউটের সদস্যারা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ শুরু করেছে। এই কাজটি আমাদের শুরু করার কাথা ছিল। স্কাউটদের আমার পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই। আমার স্টাফদের নিয়ে একদিন স্কাউটদের পাশে দাঁড়াব। দেশ আমার দায়িত্ব আমার এই প্রবাদ আমি বিশ্বাস করি। আজ বিশ্বাসের জায়গা থেকেই স্কাউটদের পাশে দাঁড়িয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।