Tuesday, 13th May, 2025

মাছ নয়, সেই ২৩ একর জমিতে ফসল ফলাবেন কৃষক

মাছ নয়, সেই ২৩ একর জমিতে ফসল ফলাবেন কৃষক
আরশিনগরে সরকারি খাস জমি চাষাবাদের জন্য কৃষকদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে সেই ২৩ একর খাস জমিতে কোনো মাছের খামার হবে না। এ জমিতে কৃষকদের চাষাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উপজেলার সখিপুর থানার আরশিনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে সরকারি ২৩ একর খাস খতিয়ানের তিন ফসলি এই জমি।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ভেদরগঞ্জ ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই এলাকা পরিদর্শন করেন এবং সেখানে স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমে চাষাবাদের নির্দেশ দেন। এসময় সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইমামুল হাফিজ নাদিম, স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহবুব আলম সরদারসহ সব মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি প্রায় ২৩ একর জমিতে মাছের খামার করার পায়তারা করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষকরা মানববন্ধন করলে চাষাবাদের জন্য নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা পেয়ে স্থানীয় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
এ ব্যাপারে কৃষক আমজাদ সিকদার বলেন, সরকারি খাস জমি গুলো দীর্ঘ দিন স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছিল। যা কৃষকদের মাধ্যমে চাষাবাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ইউএনও স্যার আব্দুল্লাহ আল মামুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন কর্তৃক সমন্বিত কৃষি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যত অনাবাদি খাস জমি রয়েছে তা স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমে চাষের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান স্যারে সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরশিনগর ইউনিয়নের ওই ২৩ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের মাধ্যমে চাষাবাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।