Tuesday, 13th May, 2025

সৌদি আরবের খেজুর চাষ হচ্ছে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে

সৌদি আরবের খেজুর এখন চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায়। এই খেজুর চাষ করে চাষি সোলাইমান। এখন পুরোপুরি স্বাবলম্বী। কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। দেশি খেজুরের চারার চেয়ে সৌদি আরবের এই খেজুরের চাহিদা ৮ গুণ বলে জানিয়েছেন সফল চাষি সোলাইমান। তার এ সাফল্য দেখে উপজেলার অনেকই এখন এ জাতের সৌদি খেজুর আবাদে আগ্রহী হয়েছেন।

সোলায়মানের এই খেজুর বাগান ও নার্সারি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। আর নার্সারি ও কাজ করছে ৫ যুবক। এক বছর আগে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগের পাড়া ছোট কাছনা গ্রামে দুই বিঘা জমিতে নার্সারির চাষ শুরু করেন মোঃ সোলায়মান সেখানে খেজুরের কয়েকটি দানা সংগ্রহ করে সৌদি আরবের এক বন্ধুর মাধ্যমে। শুরু হয় তার সৌদির খেজুর চাষ। আর কয়েক মাসের মধ্যে বাঁশের মতো চারা বৃদ্ধি পেয়ে সেই কয়েকটি চারা থেকে এক বছরে রূপ নেয় ৪ হাজার চারায়। ভাগ্য খুলে যায় তার। এক একটি চারার বাজার ম‚ল্য এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।
দুই হাজার টাকা ধরে হিসাব করলে তার চারার ম‚ল্য হয় ৮০ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে তার বাগানে রয়েছে বড় ২০টি গাছ। যার মধ্যে কয়েকটিতে খেজুর ধরেছে। এক বছরের মধ্যে তিনি দেড় লক্ষ টাকার খেজুরে চারা বিক্রয় করেছেন। গোসাইরহাটে নার্সারি ও বাগানে ভিড় করছে দ‚র-দ‚রান্তের হাজারও যুবকসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। সামনের জাতীয় বৃক্ষ মেলায় তোলা হবে সৌদি আরবের এই খেজুরের চারা।

মোঃ সোলায়মান খান বলেন, এটি ম‚লত পবিত্র দেশের খেজুর। তাই এই খেজুর চাষে আগ্রহের এটাও একটা কারণ। অর্থনৈতিকভাবেও এটা অনেক লাভবান। আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখে দেখে চাষ শিখেছি। এরপর নিজের মতো মাটি সারের উপযোগী করে তুলি, যার ফলেই এ দেশে এই খেজুর হয়েছে। ইউটিউবের মাধ্যমে সোলাইমান সৌদি খেজুরে চাষে শিখে, এখন তার নার্সারিতে আযোয়া, মরিয়ম, নাখাল ও বারহী জাতীয় তিন জাতের চার হাজার চারা রয়েছে। যার বাজার ম‚ল্য কয়েক কোটি টাকা।

গোসাইরহাট উপজেলা কৃষিসম্প্রসারন কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাস বলেন, মো.সোলায়মান খান ব্যাক্তি গত উদ্যোগে গোসাইরহাট উপজেলায় খেজুরের চাষ শুরু করেন ৩-৪ বছর আগে। তার এই ব্যতিক্রমি উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তার নার্সারীতে আজোয়া,মরিয়ম,নাখাল,বারহী জাতের সৌদি খেজুর গাছ রয়েছে। উপজেলা কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর তাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করে থাকে এবং তার কাছ থেকে সৌদি খেজুরের চারা সংগ্রহ করে অত্র উপজেলায় সম্প্রসারনের জন্য আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করছি। আমরা আশা করি তিনি তার এই উদ্যোগে আরও সাফল্যমন্ডিত হবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।