Saturday, 28th June, 2025

৮ বছর পরে স্ত্রীর অধিকার পেল খাদিজা

সখিপুর থানায় দিনের বেলায় মামলা পরে রাতেই বিয়ে করে সহকারী শিক্ষিকা খাদিজাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম।
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেন্সাস ইউনিয়নের ৪৪ নং তারাবুনিয়া মাঝি বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম এর সাথে ঐ শিক্ষিকার দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল।
শনিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন সম্পূর্ণ হয়।
এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, আজহারুল গাজী, ইউসুফ মোল্লা, নাজমুল বালা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনির বলেন, প্রধান শিক্ষক আজহারুলের প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই খাদিজা-আজহারুলের বিয়ে সম্পূর্ণ হয়। বিয়েতে উকিল বাবা হন স্থানীয় আজাহার গাজী।
স্কুল শিক্ষিকা খাদিজা বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা বিয়ে করেছি। বিয়েতে ছয় লাখ টাকা দেনমোহর ধরা হয়েছে। আর উশুল ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা। আমি প্রধান শিক্ষককে বিয়ে করে খুবই খুশি হয়েছি। তাকে নিয়ে আমি সুখে সংসার করতে চাই।’
এর আগে বিকালে প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলামের (৫৬) বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ এনে সখিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সহকারী শিক্ষিকা খাদিজা বেগম (৩৫)।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সাল থেকে ওই সহকারি শিক্ষিকার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ২২ জুলাই বিকেলে প্রধান শিক্ষক আজহারুলের স্ত্রী ও সন্তান তার শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। বাড়ি ফাঁকা থাকায় রাতে প্রধান শিক্ষক আজহারুল ওই শিক্ষিকাকে মোবাইল করে তার বাড়িতে আসতে বলেন। আজহারুলের কথামতো রাত সারে ৯ টার দিকে ওই শিক্ষিকা সেখানে আসেন। তখন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষিকার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে অজযহারুল।
আজহারুল ইসলাম সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের মাগন বেপারী কান্দি গ্রামের আব্দুর রব বেপারীর ছেলে। তিনি ৪৪ নং তারাবুনিয়া মাঝি বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ২ পুত্র ১ কন্যার জনক। অন্যদিকে শিক্ষিকা খাদিজা বেগম একই ইউনিয়নের মাঝেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। সেও ১ পুত্র সন্তানের জননী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।