Saturday, 28th June, 2025

পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইট থেকে নাম মুছে ফেলার অভিযোগ

পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইট থেকে নাম মুছে ফেলার অভিযোগ
পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটক। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলা বিঝারী ইউনিয়নে পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের মেইন ফটকে সাবেক সভাপতির নাম উঠিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার উপজেলার পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের মেইন গেইটে থাকা সাবেক সভাপতির নামের ফলক ষড়যন্ত্র করে ভেংগে ফেলা হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রখ্যাত কবি ও গীতিকার ব্যারিস্টার অতুল প্রসাদ সেন পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, যাহার শিক্ষা কার্যক্রমে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ইং সালে পর পর দুই বার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ঢালী।
স্কুলের সভাপতির দায়িত্বে থাকা কালীন স্কুলের দক্ষিন পাশে দেয়াল নির্মাণ করা হয়। স্কুলের মাঠে মাটি ভরাট করেন, স্কুলের চেয়ার টেবিল সহ মুল ফটকে স্কুলের নামকরণ করে গেইট নির্মাণ করেন। সেই সাথে সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী স্কুলে আসেন সেখানেও যাবতীয় খরচ সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ঢালী বহন করেন । এই স্কুলটি ডিজিটাল করার জন্য সব ধরণের চেস্টা তিনি করেছেন বলে এলাকাবাসীর দাবি। স্কুলের মেইন ফটকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করে অন্যান্যদের নামের সাথে তার নাম সৌজন্যে লিখে একটি গেইট নির্মাণ করেন। তারই গত শুক্রবার রাতে এই নাম ভেংগে ফেলে দেয়। পরের দিন সকালে বিষয়টি নুরুল ইসলাম ঢালীর ছোট ভাই দেলোয়ার ঢালী জানতে পেরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান সভাপতিকে জানালে তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ঢালী মোবাইলে জানান, আমি যখন স্কুলের দায়িত্বভার বহন করেছি আমি চেষ্টা করেছি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে স্কুলের আধুনিকতা ও পড়াশুনার মান উন্নয়ন করতে। তবে আমার নাম স্কুল থেকে কেউ যদি মুছে ফেলতে চায় এটা দুঃজনক। এধরণের কাজ করছে ভবিষ্যৎতে আর কোন শিক্ষানুরাগী বা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। যারা নিজেদের অর্থ ব্যয় করে প্রতিষ্ঠানের করবে।
বর্তমান সভাপতি আবুল বাসার হাওলাদারের মোবাইলে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা না বলে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে তাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস বলেন, এই কাজ যারা করেছেন তারা কাজটি ভালো করেননি। আমি কমিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি ।
নড়িয়া উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ রায় বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এটা একটি ন্যাক্কারজনক কাজ। এই ধরণের আচারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কখনওই সুফল বয়ে আনবেনা। বিষয়টি দুই এক দিনের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তানভীর আল নাসীফ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছিলো। আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি। তদন্তে কেউ দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।