
বাকিতে সিগারেট না দেয়ায় লোহার রড দিয়ে মুদি দোকানদারকে পিটিয়েছে মাদকাসক্ত ক্রেতা।
বুধবার (৬ মে ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা মধ্য কেদারপুর গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটেছে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থ্যানীয়রা দোকানদার ইছাক কাজীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ইছাক কাজী (২৮) শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মধ্য কেদারপুর গ্রামের মোঃ মমিন আলী কাজীর ছেলে। তিনি মধ্য কেদারপুর রাস্তার মোড়ে মুদি দোকান চালাতেন।
ইছাক কাজী জানান, উপজেলার কেদারপুর এলাকার মোঃ কুদ্দুস মোল্লার (বুদ্ধ মোল্লা) ছেলে রাজীব মোল্লা (৩৫) প্রায়ই দোকান থেকে সিগারেট বাকি নিত। পাওনা ৮০০ টাকা চাইলে অকথ্য গালাগাল, মারধর ও নানা হুমকি দিত।
রাজিব বুধবার সকালে আবার বাকিতে সিগারেট চায়। না দেয়ায় দোকানের ভিতর ঢুকে মারধর করে চলে যায় এবং তার কিছুক্ষন পরে আলাউদ্দিন ওঝার ছেলে তারেক ওঝা, কামাল চৌকিদারের ছেলে সুমন চৌকিদার সহ আরও দশ বার জন লোকজন নিয়ে এসে দোকান থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে রাস্তায় নিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। যাওয়ার সময় দোকানের মালপত্র, টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ইছাক কাজীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছোটে এসে উদ্ধার করে উপজেলার মুলফতগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার শরীরের অধিকাংশ চামড়া নিলাফুলা হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত রাজিব মোল্লা মাদকাসক্ত। এলাকায় সে ইয়াবা ব্যবসা করে। তার বাবা কুদ্দুস এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় সে বেপরোয়া।
অভিযুক্ত রাজিব মোল্লার মোবাইল কল দিলে পড়ে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেয়।
এ ব্যাপারে কেদারপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছানাউল্লাহ মোটো ফোনে কয়েকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনার ব্যপারে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি । যদি লিখিত কোন অভিযোগ পাই তাহলে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।