
এস এস সি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ন হয়ে বোর্ড থেকে বৃত্তি ৬ হাজার টাকা পেয়েছিলো শরীয়তপুরের নড়িয়ার ধ্রুব। ফোন কেনার জন্য টাকা গুলো জমিয়ে রেখেছিলো। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে স্তব্ধ পুরো বিশ্বে শ্রমজীবি অসচ্ছল মানুষগুলোর জন্য প্রান কাঁদে ধ্রুবর। নিজের জমানো ৬ হাজার টাকা বিলিয়ে দেয় অসহায়দের মাঝে। সে জানে এ সামান্য টাকা দিয়ে খুবই সামান্য উপকার হবে অসহায় মানুষগুলোর। কিন্তু তার এ কাজে সমাজের বিত্তশালী মানুষগুলো অসহায়দের পাশে এসে দাড়াবে এটাই প্রত্যাশা তার।
ধ্রুব নড়িয়া সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র। ইয়ুথ এগেইন্সট হাঙ্গার কর্তৃক আয়োজিত ৮ম যুব ছায়া সংসদের সদস্য ছিল সে। বাবা নড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে.এম.ওবায়দুল হকের অনুপ্রেরনায়ই ধ্রুবর এগিয়ে চলা।
সোমবার সকালে নড়িয়ায় ধ্রুবর এ অনুদান প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘ধ্রুবকে বিগত দিনেও আমরা দেখেছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে, সাধারণ মানুষের পক্ষে আন্দোলন করতে, এবারে করোনা ভাইরাসের দূর্যোগের সময়েও সে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানো, কৃষকের ধান কেটে দেওয়া কর্মসূচিতে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আজকে এসএসসির প্রাপ্ত বৃত্তির টাকা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করছে। কাজটি অত্যন্ত মহৎ ও প্রশংসনীয়। তারা কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এই আশা করছি এবং বিত্তমান শ্রেনীর পেশার মানুষদের এগিয়ে আশার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
ধ্রুব’র বাবা, নড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে.এম.ওবায়দুল হক জানান, ‘ও এসএসসির বৃত্তির টাকা জমিয়ে রেখেছিলো ফোন কিনবে বলে। কিন্তু সে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পুরো অর্থটাই অসহায়, দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করে। ও যেন এভাবেই মানুষের পাশে দাড়াতে পারে সে জন্য দোয়া করবেন সবাই।’
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।