Saturday, 28th June, 2025

শরীয়তপুরের গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল

শরীয়তপুরের সম্ভাবনাময় আমের মুকুল জাজিরা ও ভেদরগঞ্জের গাছে গাছে উুঁকি দিচ্ছে। চাষিরা বলছেন এবার মুকুল এসেছে আগাম। এটা ভাল লক্ষণ। চলতি বছরে অনুকূল আবহাওয়ায় মুকুল নষ্ট হবার সম্ভাবনা কম। তাই এবারও আমের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আম চাষিরা। শরীয়তপুর জেলা কৃষি বিভাগের পরামশ্যে ও সরকারের নিরাপদ ফল উৎপাদন প্রকল্পের সহায়তায় বিভিন্ন জাতের আম বাগান তৈরী হয়েছে। বর্তমানে জেলার জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় চাষীরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে গত বছর থেকে বাহিরে বিক্রি করছেন।
জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জামাল হোসেন জানান, গতবছর এই উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার আম চাষ করা হয়েছিলো। গত মৌসুমে আমের বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলেন চাষিরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর উপজেলার ৩শ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। থেমে নেই নতুন করে আমবাগান তৈরি।
এলাকার আম বাগান গুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বাগানের আম গাছে এবারে আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুল গুলো নষ্ট হবার কোন সম্ভাবনা নেই বলছেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম। তিনি বলেন আমার উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমের বাগান হয়েছে। এই সময়ে আমের মুকুলের পরিচর্যায় উকুননাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাকনাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান। চলতি আম মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন প্রতি হেক্টরে আবারো ১২ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভেদরগঞ্জ উপজেলা আম চাষী জাহিদুর ইসলাম সরকার জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সব বাগানেই মুকুল দেখা যাবে। মুকুল যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক ব্যবহার করছেন তারা। আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছি আমরা আমচাষিরা। জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলাসহ আশে পাশের উপজেলা হতে উৎপাদিত সুমিষ্ট আম্রপালী, বারী-৪, হিমসাগর ও হাড়িভাঙ্গা আম আমাদের জেলার চাহিদা পুরণ করে দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানি করা যাবে বলে মনে করছি।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।