শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় জপসা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গুচ্ছ গ্রামের ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন আকন (৪০) এর বিরুদ্ধে। ঘটনা ধাপাচাপা দিতে ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালীরা চাপ সৃষ্টি করছে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারকে। ঘটনার বিচার চেয়ে রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকর্মীদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা।
জানাযায়, গত ৩১ আগস্ট রাত আনুমানিক ৮টার দিকে অভিযুক্ত স্বপন আকন শিশুটিকে মারবেল দেয়ার লোভ দেখিয়ে তার ঘরে ডেকে নেয়। এরপর ঘরে গিয়ে দরজা আটকে লাইট অফ করে দেয়। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিলে ঘটনা আচ করতে পেরে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে এসে স্বপনকে আটক করে। উদ্ধারের সময় শিশুটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে বলে জানান। ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার অভিযোগ করতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান মোড়ল ও প্রভাবশালীরা বিচারের আশ^াস দিয়ে পরিবারটিকে থানায় অভিযোগ করতে বাঁধা দিচ্ছে। নিরুপায় হয়ে শিশুটির পরিবার রোববার গণমাধ্যমকর্মীদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, ‘আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করা অবস্থায় স্বপনকে আশপাশের লোকজন হাতে নাতে ধরেছে। ঘটনার পর আমাকে ও আমার স্বামীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমরা থানায় অভিযোগ করতে চাইলে লোকমান মেম্বার আমাদের অভিযোগ করতে দেয়নি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছগ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, ‘সেদিন রাতে আমরা স্বপনকে তার ঘরের মধ্যে শিশুটিকে সহ হাতে নাতে আটক করি। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। আমরা এঘটনার বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্বপন আকন বলেন, ‘ঘটনাটি মিথ্যা ও সাজানো। আমি এরকম কিছু করিনি।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য লোকমান মোড়ল বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমি পরিবারটিকে বিচারের আশ^াস দিয়েছি। কিন্তু ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা আসার কারণে বিষয়টি নিয়ে বসতে পারিনি।
ধর্ষণ সংক্রান্ত অপরাধ আপনি বিচার করতে পারেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য বলেন, আমি চেয়েছিলাম ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে।
নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।