Sunday 3rd December 2023
Sunday 3rd December 2023

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkarc/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক মাসে ৯৭টি নরমাল ডেলিভারি

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি-দৈনিক হুংকার।

মায়েদের নরমাল ডেলিভারি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফরা। এ অঞ্চলের গর্ভবতী মায়েরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারিতে আগ্রহী।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফ মিলে টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে ১ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৯৭টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছেন গত মাসে নরমাল ডেলিভারি করিয়েনছেন ৮০টি। অত্র হাসপাতালে এসে নরমাল ডেলিভারি করানোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।
এছাড়াও ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, ওআরটি কর্নার, অটিজম কর্নার, এএনসি ও পিএনসি এবং কেএমসি কর্নার চালুর মাধ্যমে হাসপাতালটিকে শিশুবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসবের উদ্যোগ সফলতা লাভ করেছে।
নার্স সুপারিন্টেন্ডেন্ট রেখা আক্তার বলেন, সিজারের নামে বাণিজ্য, দালাল চক্র এবং অদক্ষ ধাত্রীর হাত থেকে প্রসূতি মায়েদের রক্ষায় এবং নিরাপদে নরমাল ডেলিভারি করাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হোসাইন স্যারের নেতৃত্বে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স ও মিডওয়াইফরা টিম ওয়ার্ক শুরু করি। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করতে প্রসূতিদের উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণায় বিভিন্ন কৌশলও কাজে লাগিয়েছি। এজন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে প্রসূতি নারীদের বিনামূল্যে ‘প্রসূতি কার্ড’ দেয়া হয়। এরপর ডেলিভারি না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে কাউন্সেলিং আর ফ্রি চেকআপ। প্রসূতি কার্ড ও নরমাল ডেলিভারি করাতে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক, চেয়ারম্যান-মেম্বার, ইমাম ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন এনজিওর স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছানো হয় প্রসূতি মায়েদের কাছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরাও নিজেরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে কাউন্সিলিং করে।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হোসাইন বলেন, যে কোন কাজের সফলতার জন্য টিমওয়ার্কের বিকল্প নাই। আমার হাসপাতালের সবাই মিলে নিরাপদ প্রসবের জন্য কাজ করি। হাসপাতালের তৃতীয় তলায় আলাদা ডেলিভারী ব্লক করা হয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে হাসপাতালের মিডওয়াইফ, নার্স, গাইনী কনসালটেন্ট এবং অন্যান্য সকল চিকিৎসককে প্রতি মাসে মিটিং করে নরমাল ডেলিভারী বৃদ্ধি করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়। রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়। ফলে রোগীরা হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। আমরা আশা করছি দিন দিন নরমাল ডেলিভারী আরো বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে বাড়িতে ডেলিভারী করতে গিয়ে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।