
সরকারি হালট ও খাস জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করায় আড়াল হয়ে গেছে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নশাসন কীর্তিনাশা নদীর উপরে নির্মিত ব্রিজ। বাধ্য হয়ে ব্রিজের এক প্রান্তের সংযোগ সড়ক সরু করেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। এই ব্রিজ জনসাধারণের কোন উপকারে আসবেনা বলে ধারণা করেছেন এলাকাবাসী।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তিন জেলা প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সাল থেকে ব্রিজের নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৯৮ মিটার দৈর্ঘ ও ৭.৩২ মিটার প্রস্থ ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ চলাকালিন সময় ব্রিজটির পূর্ব পাড়ে সরকারি হালটের বড় একটি অংশ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেন স্বঘোষিত প্যারামেডিক ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন। সেই ভবনটি সংযোগ সড়কের একটি অংশ দখল করে রাখে। চারটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে নির্মিত ব্রিজটি কোন কাজে আসছে না।
স্বাঘোষিত প্যারামেডিক ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন বলেন, তার দুই ছেলে পুলিশ অফিসার। সারেতিন বছর পূর্বে থেকে ক্রয়কৃত জমিতে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ভবন তার ক্রয়কৃত জমিতেই রয়েছে।
দুই পুলিশ অফিসারের পিতা কথিত ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন স্থানীয়দের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল ভেবে প্রভাব খাটিয়ে হালট দখল করে এই বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন বলে দাবী করছেন স্থানীয়রা।
এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার জানায়, জনগণের চাহিদামতে স্থানীয় সংসদ সদস্য তিন জেলা প্রকল্পের আওতায় এই ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ডিজাইন ও ম্যাপ অনুযায়ী ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। এখন পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক ব্রিজের প্রসস্থ অনুযায়ী করা হয়েছে। পূর্ব পাশে ব্রিজের একটি অংশ আড়াল করে বহুতল ভবন নির্মাণ হয়েছে। পাশ দিয়ে যেটুকু সংযোগ সড়ক তৈরী করা সম্ভব সেইটুকুই করব। এছাড়া আমাদের কোন উপায় নাই।
নশাসন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শাহ আলম চৌকিদার বলেন, ৬ মাস ধরে এই ইউনিয়নে কর্মরত আছি। ব্রিজের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এই বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. পারভেজ বলেন, এই বিষয়ে নশাসন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আমাকে অবগত করে। পরবর্তীতে আমি ঘটনাস্থলে যাই। প্রাথমিক দৃষ্টিতে বিষয়টি অসঙ্গত মনে হয়েছে। সরকারী হালট ছাড়াও সেখানে সরকারী জমি রয়েছে। হালট ও সরকারি জমি দখল করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। সময় সাপেক্ষ্যে ভবনটি উচ্ছেদ করা হবে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।