মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

শরীয়তপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

শরীয়তপুর জেলা শহরের পালং এলাকায় এক শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি দখলমূক্ত করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন প্রতিপক্ষ।
জানাগেছে, ৬০ নং পালং মৌজার ৪৬৭ নং খতিয়ানের ৩১০২ নং দাগের ২৯.৯৯ শতাংশ জমির ওয়ারিশ ও ক্রয়সূত্রে মালিক সিরাজুল হক কোতোয়ালের স্ত্রী কামরুন নাহার। সেই জমিতে তার প্রতিবন্ধী পুত্র টিটু কোতোয়াল কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করে পরিচালনা করে আসছিলেন। পার্শ্ববর্তী ৩১০১ নং দাগের জমির মালিক অসীম কর্মকার, রবিন কর্মকার গং। অসীম কর্মকাররা তাদের সম্পত্তি জনৈক জাহাঙ্গীর বেপারী ও কেএম রাকিব হাসানের নিকট বিক্রি করেন। জাহাঙ্গীর ও রাকিব তাদের ক্রয়কৃত জমি পরিমাপ করে দেখেন ৩১০১ নং দাগের বেশকিছু জমি টিটু কোতোয়ালের দখলে রয়েছে। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গত ১১ আগস্ট শুক্রবার টিটু কোতোয়ালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কিছু অংশ ভেঙ্গে ফেলে দখল মুক্ত করেছে জমির ক্রয়সূত্রে মালিকগণ।
এই বিষয়ে টিটু কোতোয়াল জানায়, তার মায়ের ওয়ারিশ ও ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করে পরিচালনা করে আসছিলেন। সেই জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য জাহাঙ্গীর বেপারী ও রাকিব হাসান দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। পুলিশের সহায়তায় কয়েকবার রক্ষা পেয়েছেন। গত শুক্রবার তার ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলেছেন।
জমির ওয়ারিশসূত্রে মালিক অসীম কর্মকার ও রবিন কর্মকার জানায়, ওই জমিতে আমাদের পৈত্রিক বাড়ি ছিল। সকল রেকর্ড আমাদের পূর্বপুরুষদের নামে। ওই বাড়িতেই আমাদের জন্ম হয়। ব্যবসার সুবিধার্থে আমাদের বাবা-চাচারা বুড়িরহাট সংলগ্ন বাড়ি করেন। প্রায় ৫৫ বছর আমরা ওই বাড়িতে থাকিনা। সেই থেকে পাড়া প্রতিবেশীরা আমাদের বাড়ির ফলমূল ও গাছের ডাল-পালা নিতো। এক পর্যায়ে আমাদের সম্পত্তি ভোগ দখল করতে শুরু করে প্রতিবেশীরা। বিআরএস রেকর্ড আসলে প্রতিবেশীদের অনেকেই আমাদের জমি দখলসূত্রে রেকর্ড করিয়ে নেয়। আমরা সেখানে গেলে মারধর করত এবং মেরে ফেলার হুমকি দিত। ভয়ে আমরা সেখানে যেতে সাহস পেতাম না। সেই সুযোগে আমাদের জমিতে ঘর নির্মাণ করে টিটু কোতোয়াল ভাড়া দিতে থাকে। ইতোমধ্যে মামলা করে জমির মালিকানা ফিরে পেয়ে জাহাঙ্গীর ও রাকিবের কাছে বিক্রি করি। তারাই তাদের ক্রয়কৃত জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেছে। এছাড়াও ইতোমধ্যে টিটু কোতোয়াল ও তার মা কামরুন নাহার আমাদের বুড়িরহাটের বাড়িতে এসেছিলেন। তারা আমাদের যে জমি দখল করে রাখছে তা নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করার প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু আমরা তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করিনি।
জমির ক্রেতা জাহাঙ্গীর বেপারী বলেন, আট মাস পূর্বে জমি ক্রয় করেছি। জমি পরিমাপ করে দেখি আমাদের ক্রয়কৃত ৩১০১ নং দাগে টিটু বা তার মায়ের কোন স্বত্ব নাই। তারা শুধু দখল করে রেখেছে। আমি তাদের বার বার অনুরোধ করেছি তাদের দোকান সরিয়ে নিতে। তারা কোন কর্ণপাত করে নাই। ৮ মাস পরে আমাদের ক্রয়কৃত জমি থেকে দখলদার মুক্ত করেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।