মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল প্রেরণার উৎস ও সাহসের বাতিঘর: জেলা প্রশাসক

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করছেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল প্রেরণার উৎস ও সাহসের বাতিঘর।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার পূর্বে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে সামনে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে স্থাপিত বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও পরে অসচ্ছল মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সহধর্মিণী।
‘সংগ্রাম-স্বাধীনতা প্রেরণায় বঙ্গমাতা’ প্রতিপাদ্যের ওপর ভিত্তি করে এবার বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে, যা নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসের সঠিক প্রেক্ষাপট।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, জাতির পিতার সঙ্গে বঙ্গমাতাও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন, যা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পুলিশ সুপার মোঃ মাহাবুবুল আলম, সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহপরাণ, জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মাদ তালুত, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভা মেয়র এ্যাড পারভেজ রহমান জন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ শাহিন মিয়া, বীর মুক্তিযুদ্ধা জানে আলম মুন্সী প্রমূখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।