দীর্ঘ দেড় বছর প্রতীক্ষার পরে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুললেও পদ্মার উজানের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন এলাকার নদী ভাঙ্গনের তীব্র আকার ধারণ করেছে। অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলীনের পথে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাঁটা ইউনিয়নের উত্তর মাথা ভাঙ্গা ১ নং ওয়ার্ডের ১৫১ আব্দুল মান্নান সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ও স্থানীয় ভাবে জানা যায়, ২০১৭ সালে ৪ কক্ষবিশিষ্ট স্কুল ভবনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দুইজন শিক্ষক ও প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী নিয়ে চর এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে অবদান রেখেছে বিদ্যালয়টি। গত এক মাস পদ্মার ভাঙ্গন চলছে। স্কুলের মূল ভবনের একেবারে কাছে চলে এসেছে নদী। এরই মধ্যে ভবন সংলগ্ন বেশ কিছু জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। নির্মাণের তিন বছরের মাথায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যেতে বসেছে এই স্কুলটি। এরই মধ্যে নদীর পানি এই ভবন ছুঁই ছুঁই স্কুলের মাঠের একটি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে আগেই। যে কোন সময় ভাঙ্গতে পারে মূল ভবন। এক সময় নদী অনেকটা দূরে থাকলেও ভাঙ্গনের কারনে এখন স্কুলের ১৫ থেকে ২০ ফুট কাছে চলে এসেছে। নদী ও বিলঘেরা কাঁচিকাঁটা ইউনিয়নে শিক্ষার আলো ছড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন এই স্কুলটি। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম এমপি সহ সরকারের কাছে ভবন রক্ষার দাবি জানান এখানকার সাধারণ জনগণ।
স্থানীয় মেম্বার ইব্রাহিম সরকার বলেন, বিদ্যালয়টি ছাড়াও উত্তর মাথা ভাঙ্গা এলাকার ঘরবাড়ি, জামে মসজিদও হুমকির মুখে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মশিউল আজম হিরক জানান, যেভাবে গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে করে ভাঙ্গন কবলিত স্কুলটিতে ক্লাস করাটা মুশকিল হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, স্কুলটি রক্ষায় এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড তবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে কাজ করা হবে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার তানভীর আল নাসীফ আশ্বাস দিয়ে বলেন, শীঘ্রই নেয়া হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।