
সদর উপজেলার ডোমসার বাজারের পূর্বপাশে একটি বাড়িতে বসবাস ছাহেদ আলী মাদবর ও তার স্ত্রীর। তাদের সন্তানরা নিজ নিজ পেশা নিয়ে অনত্র অবস্থান করছে। ইসমাইল মাদবর নামে তাদের এক প্রতিবেশী বৃদ্ধ দম্পত্তির জমি দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করতেছে। বসত ঘরের দেয়াল ঘেষে একটি স’মিল তৈরী করে সারাক্ষণ কাঠ চেরাই করে। মেশিনের শব্দে বাড়িটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এছাড়াও ইসমাইল মাদবর সরকারী খাস জমি দখল করেছে এবং সামসুল হক ঢালী নামে একজন ভাড়াটের জামানত আত্মসাত করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে ইসমাইল মাদবরের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ছাহেদ আলী মাদবর ও তার স্ত্রী বলেন, তাদের ক্রয়কৃত জমি দখল করে ইসমাইল মাদবর স’মিল তৈরী করেছে। রাতদিন করে সেই স’মিল চলে। আমরা ঘরে ঘুমাতেও পারি না। আমাদের জমি দখল করে আবার পাকা ভবন তৈরী করতেছে। আমাদের কোন বাধা মানেনা সে। আমাদের জমিও বুঝিয়ে দেয় না।
ইসমাইল মাদবরের ভাড়াটে সামসুল হক ঢালী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ডোমসার বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। সেই সময় ইসমাইলদের একটি ডোবা জমি ভড়াট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করি। ডোবা ভড়াট ও দোকান নির্মাণের সেই টাকা জামানত হিসেবে গ্রহণ করে ইসমাইল মাদবর। এখন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে ব্যবসা করতেছে। আমার জামানতের টাকা ফেরত দেয় না। একই সাথে সরকারী খাস জমিও ভোগ দললে রেখেছে ইসমাইল মাদবর।
অভিযুক্ত ইসমাইল মাদবর বলেন, আমি প্রবাসে ছিলাম। এখন দেশে থাকি। আমাদের জমিতে ব্যবসা করতেন সামসুল হক ঢালী। আমার কাছ থেকে কোন পাওনা থাকলে তা হিসাব করে নেওয়ান জন্য তাকে বলেছি। অপর দিকে ছাহেদ আলী মাদবর আমার চাচা হয়। সে যেখানে বসবাস করতেছে সেখানে আমাদের জমি রয়েছে। আবার আমার দখলেও তার জমি রয়েছে। আমি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সকল বিষয় সমাধান করে দিব। জমির সমাধান হলে স’মিলও সরিয়ে নেওয়া হবে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক তপাদার ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,
📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭, ০১৭১২-৭১২৯২২, ০১৭১৬-১০৬৬৩০
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।