
শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আয়োজনে অনুষ্ঠিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান বলেছেন জনসাধারণের সেবা করা সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। তিনি আরো বলেন, নিজ নিজ জায়গা থেকে আমরা দায়িত্ব পালন করলে মামলার জট কমিয়ে আনা সম্ভব। আমার পূর্ববর্তী কর্মকর্তা যা করেছে আমি তার চাইতে একটু বেশী কিছু করতে পারলেই পরিবর্তন আসবে। আজ আলোচনা থেকে যে যে সমস্যাগুলি চিহ্নিত হয়েছে সেই গুলো সমাধান করতে পারলেই দ্রুত মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে চাঞ্চল্যকর মামলাগুলির বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন করতে পারলে মানুষের মাঝে আস্তা ফিরবে।
১২ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টায় জেলা ও দায়লা জজ আদালত ভবনে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে সভাপত্বি করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালেহুজ্জামান। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েতুল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো: মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট চাদনী রূপম, সিভিল সার্জন ডা. আবুল হাদি মোম্মদ শাহ পরান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গিয়াস উদ্দিন, ১০০ শয্যা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাজুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ, র্যাব, পিবিআই, সিআইডি, মাদক নিয়ন্ত্রক ও জেলা কারাগারের কর্মকর্তাবৃন্দ।
কনফারেন্সের সভাপতি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালেহুজ্জামান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন, ধর্ষণ ও ময়না তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে উপস্থাপন করা হলে বিচারকার্য দ্রুত শেষ করা সম্ভব। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ ঘন্টার মধ্যে এবং ধর্ষণ হয়েছে বা হয়নি তা স্পষ্ট হতে হবে। তাছাড়া সাক্ষ্য আইনে যে সকল বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে মামলা তদন্তের সময় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সুরতহাল প্রতিবেদন অনেকে খুব ভালো করে। তবে আলামত জব্দের সময় ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী সাক্ষি থাকলে ভালো হয়। অনেক সময় অপরাধীর পরিবারের লোকদের সাক্ষি করা হয় তখন তারা ঘটনা অস্বীকার করে। বিচার কার্য সম্পন্ন করতে হলে সকলে আন্তরিক হতে হবে।
মামলার বিচার কার্য ত্বরান্নিত করতে এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। মামলার সাথে সম্পৃক্ত সকলে আন্তরিক হলে দ্রুত মামলা নিস্পত্তি করা সম্ভব বলে দাবী করেছেন উপস্থিত সকলে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।