মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

মুচি আরতি রাণীর জীবন সংগ্রাম

জুতা সেলাই করছেন মুচি আরতি রাণী। ছবি-দৈনিক হুংকার।

স্বামী সুবল দাস ১০ বছর পূর্বে দুরাগ্যো যক্ষ্মা রোগে মারা যায়। সেই থেকে ৬টি কন্যা সন্তান নিয়ে চলছে স্ত্রী আরতি রাণীর জীবন সংগ্রাম। স্বামী মুচির কাজ করতেন। স্বামীকে দেখে দেখে আরতি রানীর ধারণা আসে জুতা সেলাইর প্রতি। তাই তিনি বেছে নেন স্বামীর রেখে যওয়া পেশা।
জাজিরা উপজেলার ভূমি অফিস সংলগ্ন ছোট মসজিদের পাশে স্বামীর রেখে যাওয়া একটি মাচায় বসে এখন আরতি রাণী জুতো সেলাই করেন। ৩০০ টাকা পর্যন্ত তার প্রতিদিন রোজগার হয়। ৬ সন্তানসহ ৭ সদস্যের সংসার তার। দুর্মূল্যের বাজারে তাকে হীমশিম খেতে হয়। কোভিড সময়ে অর্থাভাবে তার দুই মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর সহায়তায় এখনও মুচির কাজ করে চলেছেন আরতি ও তার সন্তানদের ভরণপোষণ।
বাজারের ব্যসায়ী ও তার কাছে জুতো সেলাই করতে আসা অনেকে জানায়, স্বামীর সবলের রেখে যাওয়া মাচায় বসে আরতি নিয়মিত মুচির কাজ করে চলছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে ওই মাচায় পাওয়া যায়। আরতি ও তার সন্তানদের কোন দুর্নাম নাই। সকলেই আরতি ও তার সন্তানদের ভালো জানে।
মুচি আরতি রাণী জানায়, সে সৎ ভাবে জীবন যাপন করতে চায়। অসৎ উপায়ে জীবন যাপন বা মানুষের দুয়ারে হাত পাতা তার পছন্দ না। তার রোজগারের অর্থে কোন রকম সংসার চলে। তার ও তার সন্তানদের অতিরিক্ত কোন চাহিদা নাই। তবে সরকারী ও সামাজিক উপায়ে তার একটি স্থায়ী দোকান হলে ভালো হতো বলে তিনি দাবী করছেন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহেল বলেছেন, তিনি মুচি আরতি রাণীর সাথে দেখা করবেন। তার সাথে কথা বলে চাহিদা অনুযায়ী সরকারী ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তার অবস্থার পরিবর্তনে দায়িত্ব হয়ে পড়েছে উপজেলা প্রশাসনের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।