
আসামীদের অবৈধ দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় ঠিকাদার, ম্যানেজার ও তার শ্রমিকদের মারধর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২১ জুন বুধবার দুপুর আড়াইটার সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার মাহমুদপুর খান পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন ঠিকাদার দেলোয়ার মন্ডল। ঘটনার সাথে জড়িত, একজন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে বিনোদপুর এলাকার হারুন মাতুব্বর, লিটন মাতুব্বর, বাবুল মাতুব্বর, এমদাত মাতুব্বর, নুরুজ্জামান মাতুব্বর, দিপু মাতুব্বর, শেরজামাল মাতুব্বর, আবুল হোসেন, ছাত্তার মোল্যা, কাদির খা, শাহিন মাতুব্বর ও মাহমুদপুর এলাকার কামাল খা, স্বপনসহ ১৫-২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র ঠিকাদারের কাছে টাকা দাবী করে আসছে। ঘটনার দিন ঠিকাদার তার শ্রমিকদের নিয়ে রাস্তায় পিচ ঢালাইর কাজ করতে ছিলেন। তখন আসামী হারুন মাতুব্বর গরম পিচের ওপর দিয়ে মটর বাইক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দায়িত্বরত শ্রমিকরা তাকে গরম পিচের ওপর দিয়ে যেতে বাধা দিলে আসামীরা ঠিকাদার দেলোয়ার হোসেন, ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম, মিস্ত্রী জাহিদুল ও হাফিজুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। একই সাথে আসামীরা ঠিকাদারের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং বিটুমিন ও পাথর তচনছ করে আরও ২ লাখ টাকা পরিমান ক্ষতি সাধন করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত জাহিদুল ও হাফিজুল জানায়, কাজ চলছে-রাস্তা বন্ধ এমন সাইনবোর্ড দিয়ে আমরা পিচ ঢালাইর কাজ করতে ছিলাম। দুপুর আড়াইটার দিকে আসামীরা জোর করে গরম পিচের ওপর দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় আসামীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ঠিকাদার ও মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন জানায়, আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছ থেকে টাকা দাবী করে আসছে। টাকা না দেওয়ায় আসামীর আমার উপর ক্ষেপে ছিল। ২১ জুন রাস্তায় পিচ ঢালাইর সময় বিবাদীর এসে আমাকেসহ দায়িত্বরত মিস্ত্রী ও ম্যানেজারকে মারধর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে পিচ ও পাথর তচনছ করে ক্ষতিসাধন করে। এই বিষয়ে থানায় মামলা করেছি।
পালং মডেল থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। কাদির নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।