মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরতের শোভা কাশফুল

শরতের শোভা কাশফুল

নদীমাতৃক বাংলাদেশে কাশফুল যেন শুভ্রতার প্রতিক হয়ে শরতে আর্বিভুত হয়। বিরূপ আবহাওয়া ও উষ্ণ জলবায়ুর প্রভাবে আমাদের দেশের অনেক কিছু হারিয়ে গেলেও কাশফুল নদীর চর থেকে এখন গ্রাম নগর ও শহরে তার শোভা ছড়াচ্ছে।
কাশফুলের জন্মস্থান বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভূটান, মালদ্বীপে। ঘাসজাতীয়, আখ বা ইক্ষুর আত্মীয়। আমাদের দেশে শরৎ মানেই কাশ আর শিউলি ফুল। নদীর তীরবর্তী স্থান কাশ বা কাইশা জন্মানোর আদর্শ স্থান হলেও এখন প্রায় সব জায়গাতেই জন্মাতে দেখা যায়।
বর্ষার বৃষ্টি বা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কাশের ঘাস জন্মে আর শরতে ফোঁটে শুভ্র, সাদা ফুল। কাশ খুব দ্রুত জন্মে নিজেদের একটা কলোনী তৈরি করে, যা কাশবন নামেই আমাদের কাছে পরিচিত।
কাশ যেহেতু আখ এর আত্মীয় সেহেতু আখের কিছুটা গুণ এর মধ্যেও আছে। কাশ ঘাসের গোড়ার দিকের অংশ মিষ্টি স্বাদের। ফিলিপাইনে এর মূলের রস ডাইইউরেটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মূলের রস বা জ্যুস জ্বর সারাতে পারে। এছাড়া মূলের রসের সংকোচক, উপশমকারী, শীতলকারক, বিরেচক, সবলকারক গুণ রয়েছে। ব্যাথা কমাতে কান্ডের শাঁসের গরম সেঁক উপকারী।
পাশ্চাত্যে কাশফুল নেই। সেখানে কাশের মতো দেখতে আছে। এই ঘাসগুলো হঠাৎ দেখে মনে হবে আমাদের দেশি কাশফুল। আসলে তা নয়। এদের স্বভাব বৈশিষ্ট্য ও ভিন্ন। কাশের তুলনায় এই ফুলগুলো বেশ ঘন। ফুল সাদা বা ক্রিম কালার। হাইব্রিড জাত আছে গোলাপী, নীল ফুলের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।