মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা

শরীয়তপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বক্তব্য রাখছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ তালুত। ছবি-দৈনিক হুংকার।

বন্যার আগাম প্রস্তুতি ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ করতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ তালুত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহপরান, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিশ্বজিৎ বৈদ্য, এসডিএসের পরিচালক বিএম কামরুল হাসান বাদল। জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক কর্মকর্তা অভিজিৎ সূত্রধর এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর প্রতিনিধি সেলিম হোসেন খান । এ সময় জেলার সকল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, শরীয়তপুর দেশের মধ্যাঞ্চলের একটি দূর্যোগ প্রবন জেলা। প্রতিবছরই বন্যা, নদীভাঙ্গন, ঘূর্ণিঝড় মানুষ ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে থাকে। এ সকল দূর্যোগের আগাম তথ্য পাওয়া গেলে ঝুকিহ্রাস ও ক্ষতি কমানো সম্ভব। এ জন্য শরীয়তপুর জেলায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (ডব্লিউএফপি) দূর্যোগের আগাম সংকেত প্রাপ্তির বিষয় পরীক্ষামূলক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলে সংস্থাটি জেলা বেসরকারি সংগঠন এসডিএসের সহায়তায় জেলার জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা, পালেরচর ও কুন্ডেরচর ইউনিয়নে, নড়িয়া উপজেলার চরআত্রা, নওপাড়া ও ঘড়িষার এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা, চরভাগা ও উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নে পরীক্ষা মুলক এ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে। তিনি দূর্যোগের বিষয় জনসাধারণকে সচেতন করতে মাইকের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো। যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসাসহ বিস্তারিত বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহনের জন্য সবার প্রতি আহবান জানান। দুর্যোগকালে টেলিফোন, বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলেন।
সভায় জানানো হয়, দূর্যোগ কালিন সময়ে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানে চিকিৎসক ডাক্তার, সেবিকা, ওষুধ ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়ে থাকে বলে জানানো হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।