ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠিতে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয় পক্ষ ডামুড্যা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ধানকাঠি ইউনিয়নের চর মালগাঁও ডগার পাড় এলাকার আবু আলেম সিকদার ও সানাউল্লাহ খান প্রতিবেশী ও পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। উভয়ের মধ্যে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছে। এই পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে সানাউল্লাহ খান তার স্ত্রী আরজু বেগম, ভাতিজি সুবর্ণা ও বাদশা আহত হয়। অপর পক্ষে আবু আলেম সিকদার, তার বোন রহিমা, মা ফুলজান বিবি সহ ভাতিজা ভাগ্নেরা আহত হয়েছে।
আহত আবু আলম সিকদার জানায়, সানাউল্লাহর কাছে সে টাকা পায়। টাকা চাওয়ায় সানাউল্লাহ তার লোকজন নিয়ে হামলা করে তাকে, তার মা, বোন ও ভাগ্নেকে মারধর করেছে। শরিফুল খান নামে এক পুলিশ অফিসার সানাউল্লাহর বড় ভাই। তার দাপটে আমাদের লোকজদের গৃহবন্ধি করে রেখেছে। রাস্তায় বের হলেই মারধর করে।
সানাউল্লাহ খান জানায়, সে আবু আলেম সিকদারের একটি পুকুরের পাড় লিজ নিয়ে কলা চাষাবাদ করেছে। লিজের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে তার স্ত্রী আরজু বেগমকে মারধর করেছে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে সে সহ তার লোকজন আহত হয়েছে। তার স্ত্রী আরজু বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছে চিকিৎসক।
ডামুড্যা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুস সালাম বলেন, উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।