বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

ভোজেশ্বর বাজারে অগ্নিকান্ডে পাট ব্যবসায়ীর ব্যাপক ক্ষতি

ভোজেশ^র বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পাটের গোডউন। ছবি-দৈনিক হুংকার।

নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বাজারে অগ্নিকান্ডে পাট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের গোডাউন পুড়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে ২ হাজার মন পাটের ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে পাট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান দাবী করেছেন। শুক্রবার বিকেলে এই অগ্নিকান্ড ঘটে। বাজারের ব্যবসায়ীরা ও ফায়ার সার্ভিসের নড়িয়া ইউনিট প্রায় ৬ ঘন্টার প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। পার্শ্ববর্তী গোডাউনে ওয়েল্ডিং কাজ করার সময় আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও ভোজেশ্বর বাজার ব্যবসায়ী সূত্রে জানাগেছে, পাট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের ও সোহেল বয়াতীদের গোডাউন ভোজেশ্বর বাজারের নদীর পারে পাশাপাশি অবস্থিত। হাবিবুর রহমানের গোডাউনে ২ হাজার মন পার্ট রাখা ছিল। সোহেল বয়াতীদের গোডাউন ছিল খালি। সোহেল তাদের গোডাউন মেরামত করার জন্য পার্শ্ববর্তী ফরহাদ ছৈয়ালের মেইল থেকে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছিল। গত ১২ তারিখ সোহেল বয়াতীদের গোডাউনে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ হাবিবুর রহমানের গোডাউনে ঢুকে পড়ে। পরবর্তীতে হাবিবুর রহমানের গোডাউনে থাকা পাটে আগুন লাগে। আগুনের পাট পুড়ে যায়।
হাবিবুর রহমান জানায়, সোহেল বয়াতীদের গোডাউনে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। টের পেয়ে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রীসহ সোহেল বয়াতী সেখান থেকে চলে যায়। ইতোমধ্যে আগুনে তার ২ হাজার মন পাট পুড়ে ৬২ লক্ষ টাকা পরিমান ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী তেলের মেইল মালিক ফরহাদ ছৈয়াল জানায়, তার মেইল থেকে সোহেল বয়াতীকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে চায়নি। তিনি পাওনাদারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে গেলে তার অগচোরে সোহেল বয়াতী বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে ওয়েল্ডিং কাজ করে। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন।
সোহেল বয়াতী মুঠোফোনে জানায়, সে ঢাকায় রয়েছে। তার বড় ভাই রাসেল বয়াতী কাজের দায়িত্বে ছিল। সে এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।
নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার রওশন জামিল বলেন, অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে শুক্রবার ৪টা ৪০ মিনিটের সময় সেখানে যায়। সাড়ে ৫ ঘন্টার প্রচেষ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। উপর থেকে পাট পুড়ে গেছে এবং নিচের দিকে কিছু পাট ভালো রয়েছে। সব মিলিয়ে ২৫ লাখ টাকা পরিমান ক্ষতি হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। পার্শ্ববর্তী ঘরে ওলেল্ডিং করার সময় আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার আবেদন করলে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে অগ্নিকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।