
লাইলি আক্তার (১৩) নামে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদরাসা ছাত্রীকে জোর করে বিয়ের আয়োজন করা হয়। ওই ছাত্রী বিয়েতে রাজি না থাকায় তার ভগ্নিপতির মাধ্যমে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশ প্রশাসনকে বিয়ের বিষয়টি অবগত করে। শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও পালং মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দেয়। একই সাথে বরের পরিবারকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়। কনের বয়স ১৮ বছর হওয়ার পূর্বে জোর করে পুনরায় বিয়ের আয়োজন করবেনা মর্মে উভয় পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়।
কনের পরিবার, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সদর উপজেলার চর স্বর্ণঘোষ গ্রামের আব্দুল করিম ফকির তার অপ্রাপ্ত বয়স্কা মেয়ে লাইলি আক্তার। বর্তমানে আব্দুল করিম ফকির শহরের শান্তি নগর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে স্বপরিবারে বসবাস করেন। লাইলিকে সেখান থেকে জোর করে একই উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া গ্রামের মমিন মুন্সীর (২৭) এর সাথে বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করে। কনে লাইলি বিয়েতে রাজি না থাকায় বিষয়টি তার ভগ্নিপতির মাধ্যমে প্রশাসনকে অবগত করে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুর ১.৩০ মিনিটে শরীয়তপুর সদর উপজেলার শান্তিনগর এলাকার ১৩ বছর বয়সি একটি মাদরাসার ছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন করে অভিভাবকগণ। কনের ছোট ভগ্নিপতি নাজমুল ইসলাম ৯৯৯ এ কল করে আইনী সহায়তা চায়। পালং থানার ওসি বিষয়টি আমাকে জানান। খবর পাওয়া মাত্রই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করি। ১৮ বছর বয়স না হলে বিবাহ দেবে না মর্মে উভয় পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করি। বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত বরের বড় ভাই কে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড আরোপ ও আদায়করা হয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক তপাদার ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,
📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭, ০১৭১২-৭১২৯২২, ০১৭১৬-১০৬৬৩০
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।