বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

পদ্মার পানি বাড়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত ফসলী জমি। ছবি-দৈনিক হুংকার।

আবারও পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিন্মাঞ্চল তৃতীয় বারের মতো প্লাবিত হয়েছে। ফলে রোপা আমন, শীতকালিন আগাম সবজিসহ বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কয়েক দিন আগে বন্যায় জেলার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়ায় কৃষক এখন দিশাহারা।
সোমবার শরীয়তপুর কৃষি বিভাগ ও সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মার পানি গত ৪-৫ দিনে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চল ও নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
পদ্মা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়েও ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে জাজিরা এবং নড়িয়া উপজেলার শাকসবজি, মরিচ ও মাসকলাইসহ আগাম ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।
চলতি মৌসুমের বর্ষার শুরুতেই বন্যায় জেলার ১৯ হাজার ৭৬৯ চাষির ৮৮২ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, রোপা আমন, আউশ, বোনা আমন, পাট, শাকসবজি, আখ, পান, ফলবাগান বিনষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার ফসল।
এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে না ওঠতেই ফের বন্যার পানিতে আমন, শাকসবজি, মাসকলাই ও মরিচের চারা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে ২-৩ দিন নিমজ্জিত থাকার পর এসব ফসল সমূলে বিনষ্ট হয়ে যাবে। তাই শরীয়তপুরের কৃষক দিশাহারা। তারা বার বার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন।
যাদের এসব ফসলের ওপর পরিবারের ব্যয় বহন করতে হয়, তাদের জন্য অনেক দুশ্চিন্তা। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ফসল করে বার বার অনাবৃষ্টি ও বন্যার পানিতে বিনষ্ট হলে এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা দুসাধ্য। পাশাপাশি মানুষের শাকসবজির অভাব দেখা দেবে।
বন্যার পর যেসব জমিতে শাকসবজি বপন করা হয়েছে, ধীরে ধীরে তা বাজারজাত করা শুরু হয়েছিল। তা বিনষ্ট হলে তরকারি পাওয়া কষ্ট হবে।
এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলার গঙ্গানগর এলাকার কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, বার বার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা আমাদের জন্য কষ্টকর। কয়েক দিন আগে বন্যায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। আবার নতুন করে ফসল করেছি। এখন আবার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ জামাল হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুনরায় নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। কৃষকরা বন্যার ক্ষতি পোষাতে মাঠে নেমে এখন আবার নতুন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।