শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

প্রবল স্রোতে পদ্মার ভাঙ্গনে জাজিরার ১৯৭ পরিবার গৃহহীন

ব্রীজে আশ্রয় নেওয়া বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। ছবি-দৈনিক হুংকার।

পদ্মার প্রবল স্রোতে জেলার জাজিরা উপজেলার মঙ্গলমাঝির ঘাট সংলগ্ন ওকিলউদ্দিন মুন্সি কান্দি, আলমখার কান্দি ও পৈলান মোল্যা কান্দি গ্রামে গত কয়েকদিনে পদ্মার ভাঙ্গনে ১৯৭ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এদিকে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ৪টি পৌরসভা ও জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও সদর উপজেলার শতাধিক গ্রামের প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এতেও প্রায় ২০টির বেশি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মার পানি ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদ সীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলার প্রায় ১ হাজার হেক্টর ফসলী জমি। প্লাবিত এলাকায় খাদ্য, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বানভাসীরা তাদের গবাদি পশু নিয়ে উঁচু রাস্তা ও ব্রীজে আশ্রয় নিয়েছে। ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়ে সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এখনো মোটরসাইকেল, সিএনজি, ইজিবাইকসহ ছোট ছোট কিছু যানবাহন চলাচল করলেও অব্যাহত পানি বৃদ্ধি পেলে যেকোন সময় মঙ্গলমাঝির ঘাট ও কাঠালবাড়ি ফেরিঘাটের সাথে জেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এ দিকে পানিবন্দি এলাকায় সরকারি ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশ্রাফ উজ্জামান ভূইয়া বলেন, প্রবল স্রোতের কারণে জাজিরার মঙ্গলমাঝির ঘাটের পূর্ব পাশের ৩টি গ্রামে পদ্মার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গনে পদ্মার তীরবর্তী ৩টি গ্রামের প্রায় ২শ পরিবার গৃহহীন হয়ে বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিয়েছে অন্যত্র। ভাঙ্গন কবলিত লোকজনসহ বন্যাকবলিত এলাকায় আমরা এ পর্যন্ত ২৬০ মেট্টিক টন চাল ও ৫শত প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। সরকারে পক্ষ থেকে ত্রানকার্যক্রম অব্যাহত আছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করছে।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, পদ্মা তীরবর্তী এলাকাসহ কীর্তিনাশার বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষণিক জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে। এ ছাড়াও পদ্মা সেতুর নদী শাসন এলাকা ও পদ্মার ডানতীর রক্ষা বাঁধের মাঝ খানের ২.৫ কি.মি এলাকায় স্থায়ী বাঁধের জন্য ডিপিপি তৈরী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা বন্যার্তদের মাঝে ৪৭০ মেট্টিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। প্রতিদিনের বিতরণ ও মজুদের হিসাব করে মন্ত্রণালয়ও নিয়মিত বরাদ্দ দিয়ে আসছেন বিধায় জেলায় কোন খাদ্য সংকট হবে না বলে আমরা আশাবাদি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।