
শরীয়তপুর জাজিরা থানায় এক মানবপাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিকেলে মামলাটি করেন গ্রীসে নিহত আসিফ হোসেন লিমনের মা ফাহিমা আক্তার। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার বল্লবদী গ্রামের আ: রশিদ ব্যাপারীর ছেলে মো. সাইদুর রহমান ব্যাপারীকে (৪৫)। শুক্রবার (২৬ জুন) ভোরে পুলিশ সাইদুর রহমানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আর দ্বিতীয় আসামী ওই গ্রামের মৃত ধোনাব মাদবরের ছেলে কোব্বাছ মাদবর (৩৫)। কোব্বাছ বর্তমানে গ্রীসে রয়েছেন। গ্রীসের ওই ঘটনায় ফেনী জেলার দাগনভূইয়ার দুই বাসিন্দা নিহত হয়েছেন।
আর বাদী নিহত লিমনের মা ফাহিমা আক্তারের দাবি, দালাল সাইদুর রহমান ব্যাপারী প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে তার ছেলে লিমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন। পরে দালাল সাইদুর রহমান ও কোব্বাছ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার ছেলেকে বিভিন্ন কৌশলে বিমানে বৈধ উপায়ে গ্রীসে নেয়ার আশ্বাস দেয় এবং তার স্বামী তোফাজ্জল হাকিদার ষড়যন্ত্র বুঝতে না পেরে ছেলে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গ্রীসে পাঠাতে রাজি হয়। স্বামীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা দাবি করেন। প্রথমে তার স্বামী সাইদুর রহমানের কাছে নগদ ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন এবং পরে শরীয়তপুর সোনালী ব্যাংকের মাদ্যমে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেন। এই কাজে সাইদুর রহমানের সহযোগী ছিলেন কোব্বাছসহ কয়েকজন।
জাজিরা থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) এমএ মজিদ বকুল বলেন ,এ ব্যপারে মামলা হলে আমরা আটকরে চেষ্টা করি আজ তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো পাচার কারির একজন সদস্য।তাকে জেলা হাজতে পাঠানো হবে।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক তপাদার ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,
📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭, ০১৭১২-৭১২৯২২, ০১৭১৬-১০৬৬৩০
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।