বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

জাজিরায় গ্রীষ্মকালিন তরমুজে কৃষকের ভাগ্য বদল

জাজিরায় গ্রীষ্মকালিন তরমুজে কৃষকের ভাগ্য বদল

জাজিরায় গ্রীষ্মকালিন তরমুজ চাষ করে ২৫ কৃষক তাদের ভাগ্যবদল করেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ এর পরামশ্যে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন এসডিএস এর মাধ্যামে এবার জাজিরা উপজেলায় ২০ একর জমিতে মালর্চিং পদ্ধতিতে গ্রীশ্মকালিন তরমুজের আবাদ করেছে জাজিরা উপজেলার ৪০ জন চাষী।
চাষীদের সাথে আলাপ কালে জাজিরার তরমুজ চাষী ফরহাদ মাদবর জানান, গত তিন বছর যাবৎ মূল্যবান ফসল তরমুজের চাষ করছি। কোন প্রকার প্রকৃতিক দূর্যোগ না হলে তরমুজ চাষে প্রয় তিনগুন লাভ হয়। এক একর জমিতে তরমুজ চাষ করা জন্য ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। মোটামুটি ফলন হলে দের লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। ভার লাভ হওয়ায় প্রতি বছরই চাষের পরিমান বাড়ছে।
নাওডোবা এলাকার চাষি জসিম চোকদার বলেন,উপজেলা কৃষি অফিসার এর পরামশ্যে আমরা এসডিএসের দলভূক্ত হয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন ( পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে আমি এ বছর ১একর জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি।আমার সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আসা করি যে ফলন হয়েছে তাতে সব কিছু ঠিক থাকলে দের লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবো।
জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ জামাল হোসেন বলেন,কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নের সংগ্রামে সব সময় নিত্য নতুন প্রযুক্তি দিয়ে আমাদের নিরন্তর ছুটে চলা। অসময়ে তরমুজ চাষ এমনই এক্টি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছে জাজিরার অনেক কৃষক। সম্প্রতিক বছর গুলোতে এই বিপ্লবের পিছনে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে প্রযুক্তিটি বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে চলেছে স্থানীয় এনজিও এসডিএস এর কৃষি ইউনিট। মূলত জিও – এনজিও দ্বৈত প্রচেষ্টার ফল হিসাবে মালচিং ফিল্ম ব্যবহার করে মাচায় এই তরমুজ বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে যার কারনে বিগত বছরের ন্যায় এবারেও কৃষক লাভের আশায় রয়েছে।
সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করন প্রকল্পের মাধ্যমে স্থাপিত প্রদর্শনীতে এখনই ছোট ছোট কচি তরমুজ চলে এসেছে যা আগামী এক মাসের মধ্যে বাজারে চলে আসবে।
এসডিএসের কৃষি বিভাগের সহকারি পরিচালক কৃষিবিদ খাজি মোহাম্মদ বলেন,সরকারে আহবানে সারা দিয়ে এসডিএস পিকেএসএফ এর অর্থায়নে করোনা পরিস্থিতি ও পরবর্তীতে আমাদের এদেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করা জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এতে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছে তেমনী খাদ্য চাহিদা পুরণের হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।