রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ৩ রমজান ১৪৪৪ হিজরি
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

করোনা আক্রান্ত নারী পুলিশের পাশে ওসি আসলাম উদ্দিন

করোনা আক্রান্ত নারী পুলিশের পাশে ওসি আসলাম উদ্দিন
করোনা আক্রান্ত নারী পুলিশের পাশে ওসি আসলাম উদ্দিন

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক নারী পুলিশ সদস্যের বাড়ি গিয়ে খোঁজ-খবর নিলেন পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম উদ্দিন। জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে করোনা আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি যান তিনি। এই সময় তিনি করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের জন্য প্রয়োজনীয় জিবিসপত্র নিয়ে যান বলেও জানাগেছে। মানবিক এই কাজ করে তিনি করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্য ও পালং মডেল থানার পুলিশ বাহিনীর মধ্যে আস্তা ও সুনাম কুড়িয়েছেন।
পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, পালং মডেল থানা এলাকার সুজনদল গ্রামের কাজল খানের মেয়ে সুমাইয়া ২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে। বার্তমানে সুমাইয়া গাজীপুর জেলার বাসন থানায় কর্মরত রয়েছেন। তার কনেস্টবল নম্বর ৯১৪। সে ছুুটিতে বাড়ি এসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, গাজীপুরের বাসন থানায় কর্মরত এক নারী পুলিশ সদস্য পালং থানা এলাকায় তার নিজ বাড়িতে বেড়াতে এসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। জানতে পারি সে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় একজন পুলিশ সদস্যকে মানসিক কাউন্সিলিং করা গেলে তার মনবল ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই তার বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে পুলিশ সুপার স্যারের অনুমতি নিয়ে ওই করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের বাড়ি যাই। তাকে বুঝাতে সক্ষম হই করোনা মরনঘাতি কোন ব্যাধি না। সঠিক চিকিৎসা ও দৃঢ় মনবলের কাছে করোনা খুবই তুচ্ছ একটা জিবানু। এখন সে করোনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে এবং সঠিক চিকিৎসা ও কাউন্সিলিং গ্রহন করেছেন। আমি আশাবাদি খুব শীঘ্রই সে করোনা নেগেটিবে পৌঁছে যাবে।
করোনা আক্রান্ত নারী পুলিশ কনেস্টবল সুমাইয়া বলেন, আমি জানতাম করোনা একটা মরনঘাতি ব্যাধি। তাই আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি। যখন আমার কাছের লোকেরা আমার থেকে দূরে থাকা শুরু করেছে ঠিক তখনই পুলিশ বান্ধব পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম উদ্দিন স্যার আমার বাড়ি এসে আমার খোঁজ-খবর নেয়। আমাকে কাউন্সিলিং করে। তখন আমার সুস্থ হয়ে ওঠার মনবল অনেকগুন বড়ে যায়। আমি ওসি স্যারের কথামতো নিজের খেয়াল রাখা শুরু করেছি। আমি মনবল ফিরে পেয়েছি। স্যার যখন বলে তোমার ভয়ের কিছু নেই। গোটা দেশের পুলিশ আছে তোমার সাথে। তখন এতো দুঃখ কষ্টের মধ্যেও আমার হাসি পায়। আমি স্যারকে জিজ্ঞেস করি সত্যি বলছেনতো। স্যার বলে অবশ্যই সত্যি।
পালং মডেল থানার পুলিশ সদস্য ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানাযায়, ওসি মো. আসলাম উদ্দিন একজন পুলিশ বান্ধক কর্মকর্তা। সে পুলিশের সকল সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়। এমন পুলিশ কর্মকর্তার অধিনে চাকুরি করতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি। আমরা ওসি মো. আসলাম উদ্দিনের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।