
শরীয়তপুর পৌরসভার আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী পারভেজ রহমান জন এর জন সভায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী ফরিদ শেখ সহ উভয় পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে দাবী করা হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের কাজ থেকে জানা গেছে, ৯ জানুয়ারী শনিবার বিকালে শরীয়তপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড স্বর্ণঘোষ এলাকায় আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী পারভেজ রহমান জনের পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। টেবিল ল্যাম্প প্রতিকের প্রার্থী হাজী মো. ফরিদ শেখ তার সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে পথ সভায় যোগ দেয়। সেই সভায় সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইমু আক্তার, রহিমা বেগম ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল রশিদ সরদার (বর্তমান কাউন্সিলর) উপস্থিত হয়। নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শেষে বর্তমান কাউন্সিলর রশিদ সরদারের ভাই আলো সরদার বক্তব্য শুরু করলে কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ শেখ বাঁধা প্রদান করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা রমিজ উদ্দিন শরীফ সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আহত রমিজ উদ্দিন শরীফ বলেন, আমি মেয়র প্রার্থী জনের পাশেই বসা ছিলাম। আলো সরদারের বক্তব্যে কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ শেখকে উদ্দেশ্য করে বানোয়াট কথা বলে। এর প্রতিবাদ করায় সেখানে সংঘর্ষ হয়। আমি মেয়র প্রার্থীকে রক্ষা করতে আগাইয়া যাই। সেখানে ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন দেওয়ান আমাকে ধরে রাখে অন্যান্যরা পিছন থেকে আমাকে পিটায়।
প্রার্থী ফরিদ শেখের বড় ভাই জাকির শেখ বলেন, কাউন্সিলর রশিদ সরদারের ভাইয়েরা ও তার সমর্থকরা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করেছে। এতে কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ শেখ সহ আমাদের পক্ষের অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বোতল প্রতিকের প্রার্থী রশিদ সরদার বলেন, ফরিদ শেখ ইউনিয়নের লোকজন নিয়ে মিছিল করে সভায় আসে। সেখানে আমার ভাই আলো সরদার বক্তব্য রাখে। আমার ভাই আলো সরদার বক্তব্য দেওয়ার সময় ফরিদ শেখ বাধা প্রদান করে এবং তার লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। তখন উভয় পক্ষের সমর্থকদের মাঝে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। এতে আমর সমর্থক অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত ছিল। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে কোন পক্ষই এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।