বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

নিয়ামতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকায় মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত

এভাবেই দিনের পর দিন বন্ধ থাকে নিয়ামতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি) বন্ধ থাকায় চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। ব্যহত হচ্ছে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা। আংগারিয়া ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তপন কুমার পোদ্দার আগামী সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন। ওই সিসি বেশীরভাগ সময় বন্ধ থাকে এমন তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় জনতা ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। নিজের অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন দায়িত্বরত সিএইচসিপি রোকেয়া আক্তার সুরমা।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানাগেছে, উপজেলায় মোট ২০টি সিসি রয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি সিসিতে ১৯ জন সিএইচসিপি কর্মরত রয়েছেন। ১টি সিসি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই নতুন সিসিও চালু করা হবে। সিসি বন্ধ রাখার কোন সুযোগ নাই। চর নিয়ামতপুর সিসিতে দায়িত্ব পালন করেন রোকেয়া আক্তার সুরমা। তার বিরুদ্ধে পূর্বেও অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। কিছুতেই তিনি সংশোধন হচ্ছেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শণ কালে বুধবার সারাদিন সিসি বন্ধ দেখা যায়। মঙ্গলবার সিসি বন্ধ ছিল বলেও জানিয়েছে তারা। স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এবং আয়তনের দিক থেকে বড় আংগারিয়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে দুইটি সিসি রয়েছে। তার মধ্যে নিয়ামতপুর সিসি একটি। এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার ভরসা এই সিসি। এই সিসিটি করোনাকালীন সময়ও একাধারে বন্ধ ছিল। এখনও প্রায়দিন বন্ধ থাকে। রোগীরা আসে আর সিসি বন্ধ দেখে চলে যায়। এই সিসি এলাকাবাসীর জন্য কোন উপকারে আসে না।
সিসির জমি দাতা ও সিসি পাশ^বর্তী দোকানদার মো. এনামুল হক মাদবর বলেন, সিসির জন্য আমরাই জমি দেই। করোনার মধ্যেও কোথাও হাসপাতাল বন্ধ হয় নাই অথচ এই সিসি খোলা হয় নাই। গতকাল বুধবার সিসি বন্ধ ছিল আজও ১২টার বেশী বাজে আর কখন খোলবে।
সিসির পাশ^পর্তী বাড়ির স্কুল ছাত্র আকাশ ও মোস্তাফিজ জানায়, প্রতিদিনই লোকজন এসে সিসি বন্ধ দেখে চলে যায়। আজও ২০ থেকে ২৫ জন রোগী ফিরে গেছে।
স্থানীয় মোফাজ্জল ফরাজী বলেন, হাসপাতালতো খোলা রাখার দরকার। শুনছি ঔষুধ নাই তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। তবুও সিসি খোলা রেখে রোগীদের একটা পরামর্শ দিতে পারে। একেবারে বন্ধ রাখা ঠিক না।
এই বিষয়ে সিভির সার্জন ডা. এসএম আব্দুল্লাল আল মুরাদ বলেন, এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। অনিয়ম থাকলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।