
শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকরে প্রতিবেশীর এক পুরুষ দ্বারা ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী ছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ওই ধর্ষিতা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর ধর্ষক সালামত সরদার পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
জানাগেছে, এক বছর পূর্বে অভাবের তারনায় রুদ্রকর ইউনিয়নের মাকসাহার গ্রামের নানাবাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবার। সেখানকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে পড়ালেখাও শুরু করছিল ওই কিশোরী। গত ৭ মার্চ রাতে প্রতিবেশী ঘরে টিভি দেখতে গেলে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রতিবেশী মন্নান সরদারের ছেলে সালামত সরদার। পরবর্তীতে ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরী ছাত্রীকে আরও অনেকবার ধর্ষণে বাধ্য করে ধর্ষক সালামত। ইতোমধ্যে মেয়েটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষিতা ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায়।
ধর্ষিতা জানায়, ৬ মাস পূর্বে সে টিভি দেখার জন্য প্রতিবেশী সালামত সরদারের ঘরে যায়। সেখান থেকে টয়লেটে গেলে ধর্ষক তার মুখ চেপে ধরে পাশর্^বর্তী গোসল খানায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ভয় দেখিয়ে এর পরেও একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেছে।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানির পর চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত সালামত সরদার এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ধর্ষকের স্ত্রীর দাবী, তার স্বামী নির্দোষ। মিথ্যা ভাবে ফাঁসানো হয়েছে তাকে।
ধর্ষিতা কিশোরী ছাত্রীর মা জানায়, ঘটনা জানাজানি হলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি বাদী হয়ে ধর্ষক সালামত সরদারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করছেন তিনি।
ধর্ষক সালামত সরদারের বাড়ি গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নাই। তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম জানায়, তার স্বামী এই ধর্ষণের সাথে জড়িত নাই। তার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার। তার স্বামী দোষী হলে শাস্তি মাথা পেতে নিবেন। ঘটনা যদি মিথ্যা হয় তাহলে তার স্বামীকে যে হয়রানী করা হচ্ছে তার দায় কে নিবে?
মামলা পরবর্তী পালং মডেল থানা পুলিশ সদর হসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে ওই কিশোরী কে তার মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আল মামুন শিকদার বলেন, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে মামলা নেয়া হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামী পলাতক রয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক তপাদার ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান
জমজম টাওয়ার (নীচ তলা), চৌরঙ্গী, শরীয়তপুর।
☏ ০৬০১-৬১৩২৫, ৫১০১১,
📱 ০১৭১২-৫০৭৫২৭, ০১৭১২-৭১২৯২২, ০১৭১৬-১০৬৬৩০
hongkardaily@gmail.com
২৮/১ সি টয়েনবি সার্কোলার রোড , রহমানিয়া কমপ্লেক্স (৬ তলা), মতিঝিল, ঢাকা।