
করোনা আতঙ্কে সারাবিশ্ব আতঙ্কিত। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ করোনা রোগী চিহ্নিত হচ্ছে। বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। দেশের প্রতিটি জেলাও রয়েছে ঝুঁকিতে। শরীয়তপুরে করোনা মহামারির ঝুঁকিও সবচেয়ে বেশী। মানুষকে করোনা সচেতন করতে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও কিছু মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে পারছে না প্রশাসন। তাই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ড দিয়ে অসচেতন মানুষকে ঘরমুখী করতে চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকার ঘোষিত আইন ও স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অমান্য ও মাস্ক বর্জণ করে কিছু লোক অপ্রয়োজনে যত্রতত্র বাহিরে ঘোরাফেরা করছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নির্ধারিত সময়ের পরেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে হরদম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অনিয় ঠেকাতে ভ্রাম্যমান আদালত সার্বক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।
নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. মাহবুর রহমান শেখ রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে বিধি অমান্যকারী ১৮ জনকে অথদন্ড প্রদান করেছেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, যখন বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নিয়ম ছিল তখনও কিছু ব্যবসায়ী নিয়ম লঙ্ঘন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখত। এখন সময় বর্ধিত করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই চক্রটি এখনও সন্ধ্যা ৭টার পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে বেচাকেনা করছে। সেই সুযোগে কিছু অসচেতন লোক ভীড় জমিয়ে সেখানে কেটাকাটা করে। এতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই অভিযান পরিচালনা করে ১৮ জনকে ৫ হাজার ৩০০ জরিমানা আরোপ করা হয়। জনসচেতনতায় এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।