বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুরে ফোন করলেই ত্রাণ পৌঁছে অভুক্তের বাড়িতে

শরীয়তপুরে ফোন করলেই ত্রাণ পৌঁছে অভুক্তের বাড়িতে

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের ফোন নম্বর সম্বলিত হেলপ লাই খুলে বিজ্ঞপ্তি আকারে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। করোনা ভাইরাস সচেতনতায় লকডাউন চলাকালে যারা সরকারি সহায়তা পায়নি অথবা অভুক্ত কিন্তু আত্মসম্মান রক্ষার্থে লাইনে দাড়িয়ে ত্রাণ গ্রহন করতে পারছেন না তাদের জন্য এই পদ্ধতি গ্রহন করা হয়েছে।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তার সমন্বয়ে বাড়ি-বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার পদ্ধতি গ্রহন করা হয়েছে। যারা ত্রাণ পায়নি তারা ৩৩৩ অথবা ০১৭১৮ ৪১ ৯০ ৩৮ নম্বরে ফোন করে ঠিকানা বললে সেখানে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়েছেন শরীয়তপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি.ক্লিন। ৫ এপ্রিল থেকে এই পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৩ শতাধিক ফোন কল পাওয়া গেছে। এদের মধ্য থেকে বুধবার পর্যন্ত ২ শতাধিক পরিবারকে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় সূত্রটি। যারা ত্রাণ নিয়ে বাড়ি-বাড়ি ছুটছেন কিন্তু তাদের নিরাপত্তা পোষাক, মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস না থাকায় সার্বক্ষণিক আতঙ্কে থাকেন তারা।

শরীয়তপুর সদর প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহকারী গিয়াস উদ্দিন, কার্যসহকারী আব্দুস সবুর ও অফিস সহায়ক আব্দুল লতিফ জানায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুর রহমান শেখ এর নির্দেশনায় ও ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এর পরিকল্পনা অনুযায়ী সার্বক্ষনিক উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা। আমাদের পাশে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের সদস্যরা। তারা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেয় তবে তাদের নিরাপত্তা পোষাক প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন ত্রাণ সরবরাহকারী টিমের সদস্যরা। তারা আরও জানায়, এই পর্যন্ত যাদের ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে তাদের বেশীর ভাগ লোকই দিন মজুর, বাস, অটো, ভ্যান ও রিক্সা শ্রমিক ও গৃহকর্মী। যারা দিন এনে দিন খায় তাদের কাজকর্ম নেই তাই ঘরে খাবারও নাই তাদের মধ্য থেকেই বেশী কল আসে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, কোভিড-১৯ নভেল করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই দিন মজুর ও নিন্ম আয়ের মানুষেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য এই ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পর্যন্ত যারা ত্রাণ পায়নি বা ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়াতে লজ্জাবোধ করে তাদের জন্য হেলপ লাইন খোলা হয়েছে। সেখানে কল করে ঠিকানা বললে আমাদের লোকেরা ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।