বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkar/public_html/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শৌলপাড়ায় খাল দখল করে মুরগির খামার তৈরী, বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্টের আশঙ্কা

শৌলপাড়ায় খাল দখল করে মুরগির খামার নির্মাণ করছে আ: রব বেপারী। ছবি-দৈনিক হুংকার।

শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়ায় সরকারি খাস জমি দখল করে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেষে মুরগীর খামার তৈরী করছেন আ. রব বেপারী নামে এক ব্যক্তি। এর পূর্বেও তিনি বাড়ির পাশে মুরগী পালন ও মুরগির বর্জ্য ব্যবহার করে বিদেশী মাগুর মাছের চাষ করে এলাকাবাসীর রোশানলে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সদর উপজেলা প্রশাসন বলেছে সরকারি খাস জমি কেউ দখল করতে পারবে না। দখলের চেষ্টা করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শৌলপাড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ১০ নং সারেংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে একটি খাল বহমান। খালের পাশ দিয়ে ডোমসার বাজার থেকে শৌলপাড়া বাজার মুখী রাস্তা চলে গেছে। সেই রাস্তার পশ্চিম পাশে আ. রব বেপারীর বসত বাড়ি। তার বাড়ির বিপরীত পাশে (পূর্ব পাশে) খালের প্রায় ৭০ শতাংশ দখল করে তিনি (আ. রব বেপারী) মুরগি পালনের জন্য দুইটি খামার তৈরীর কাজ করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে (১০ মিটারের মধ্যে) মুরগীর খামার তৈরী করলে পাঠদানের ব্যাঘাত হবে।
স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর হলো এই খালটি সরকারী অর্থায়নে খনন করা হয়েছে। বহমান এই খালের পানি দিয়ে এলাকাবাসীর চাষাবাদ করে। খাল দখল করে ঘর নির্মাণ করা হলে কৃষকের ক্ষতি হবে। ওই পরিবারটি একটু বেপরোয়া। বিগত দিনে বসতি এলাকায় খামার করে ও বিদেশী মাগুর মাছ চাষ করে মানুষকে হয়রাণী করেছে। এবার বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেষে সরকারি খালের ভিতর খামার নির্মাণ করতেছে।
এই বিষয়ে আ. রব বেপারী বলেন, আরএস, সিএস থেকে এই জমির মালিক আমি। সেই জমিতে মুরগী পালনের জন্য ঘর নির্মাণ করতেছি। খালের ভিতরে একটা অংশ পড়েছে। সরকার চাইলে ভেঙ্গে ফেলব।
শৌলপাড়া ইউপির ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার হামেদ রাজ বলেন, আ. রব বেপারী মালিকানা জমি দাবী করে খালে মুরগির খামার তৈরী করতেছে। পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয়। খামার হলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে খামার তৈরীর কোন সুযোগ নাই।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, খালতো দূরে থাক, সরকারি খাস জমি দখল করার কোন সুযোগ নাই। সংবাদ পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তার পরেও যদি কাজ শুরু করে তাহলে আইনের আওতায় আনা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

দৈনিক হুংকারে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।